দৌলতপুরে ভাইকে হত্যার দায়ে সৎভাইয়ের মৃত্যুদন্ড
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাইকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যার দায়ে মো. মিলন হোসেন (৩৭) নামে সৎভাইয়ের মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত।

দৌলতপুরে ভাইকে হত্যার দায়ে সৎভাইয়ের মৃত্যুদন্ড
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমীন আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত মো. মিলন হোসেন উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন জামালপুর কান্দিপাড়া গ্রামের নান্দু মন্ডল ওরফে নান্দু ডাকাতের ছেলে। পরে তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল সকালে জামালপুর কান্দিপাড়া গ্রামের নান্দু মন্ডলের প্রথম স্ত্রীর ছেলে ফামিদ হোসেন (৪২) বাড়ির পার্শবর্তী চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন। এসময় পিছন থেকে তার সৎভাই মিলন হোসেন ধারালো হাসুয়া দিয়ে ফামিদ হোসেনকে কুপিয়ে ও গলাকেটে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়রা আহত ফামিদকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ক্যাম্পে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রোজিনা খাতুন পরদিন ১২এপ্রিল দৌলতপুর থানায় আসামী মিলনসহ দু’জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করে।
মামলাটি তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা দৌলতপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিয়াউর রহমান ২০২১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মিলন হোসেনসহ দু’জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী জানান, পৈত্রিক জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সৎভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার দায়ে সৎভাই মিলন হোসেনকে মৃত্যুদন্ড এবং অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় অপর আসামী সোহেল রানাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

উল্লেখ্য. সীমান্তের শীর্ষ মাদক চোরাকারবারী ও সন্ত্রাসী সৎভাইয়ের হাতে নিহত ফামিদ হত্যা মামলায় ভারতে ১৪ বছর কারাভোগের পর ২০১৯ সালের মার্চ মাসে দেশে ফিরে আবারও মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড জড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারী ও একাধিক ধর্ষনের অভিযোগও ছিল। এনিয়ে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী ছিল অতীষ্ট। তাকে ধরতে পুলিশ একাধিকবার সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়। এছাড়াও সৎভাই মিলনের অনুপস্থিতিতে ঘরে ঢুকে তার স্ত্রী ও মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করারও অভিযোগ ছিল লম্পট ফামিদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার জের ধরেও তাকে সেসময় হত্যা করা হয়েছিল বলে এলাকাবাসী অভিমত ছিল।
