স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রযুক্তিগত শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই : ডিসি এহেতেশাম রেজা  - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রযুক্তিগত শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই : ডিসি এহেতেশাম রেজা 

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: জুন ২৭, ২০২৪

রঞ্জুউর রহমান ॥ কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও করণীয় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত। 

গতকাল বুধবার (২৬ জুন) সকাল দশটা জেলা প্রশাসনে সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ মিজানুর রহমান এর সভাপতিত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও করণীয় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা।

 এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোছাঃ শারমিন আখতার,অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আবদুল ওয়াদুদ,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ কাওছার হোসেন, জেলা কালচারাল অফিসার মোঃ সুজন রহমান, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (রাজস্ব শাখা)রেকসোনা খাতুন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ভূমি অধিগ্রহণ শাখা ও রেভিনিউ মুন্সিখানা শাখা) খাদিজা আক্তার, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (ব্যবসা, বানিজ্য ও বিনিয়োগ শাখা ) আদিত্য পাল, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সাধারণ শাখা) মুমতাহিনা পৃথুলা, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (রেকর্ডরুম শাখা ও জেনারেল সার্টিফিকেট শাখা) সৈয়দা আফিয়া মাসুমা, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (শিক্ষা ও কল্যাণ শাখা) মোঃ তাফসীরুল হক মুন,সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (আইসিটি) মোঃ জাহিদ হাসান, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (ই-সেবা কেন্দ্র ও স্থানীয় সরকার শাখা) আবু সালেহ মোঃ নাসিম, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (ফরমস এন্ড স্টেশনারি শাখা ও লাইব্রেরি শাখা) ফারজানা সুলতানা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মোঃ নাঈমুর রহমান এবং  ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। সেমিনারে উপস্থিত বক্তারা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ এমন একটি লক্ষ্যের নাম, যেখানে অল্প সময়ে সমাধান হবে কঠিন কাজগুলোর।

 তাও কোনো ঝামেলা ছাড়াই স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি পিলার রয়েছে। এগুলো হলো দেশের জনগণের মধ্যে স্মার্টের বিকাশ, স্মার্ট সরকারব্যবস্থা, দেশের অর্থনীতিতে স্মার্টের স্পর্শ ও স্মার্ট সামাজিক কাঠামো। 

স্মার্ট বাংলাদেশের চার পিলারের প্রথমটি হলো- রাষ্ট্রের নাগরিকদের স্মার্ট হতে হবে। সে ক্ষেত্রে দেশের নাগরিকরা কীভাবে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্থানীয় ও অন্যান্য সমস্যার সমাধান করতে পারবে, সেদিকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। মূলত স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনী।স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশে প্রযুক্তিগত শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা ছিলো এ সরকারের প্রথম লক্ষ্য। পরবর্তীতে আপনাদের সকলের সহযোগিতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে  সক্ষম হয়। বর্তমানে এ সরকারের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার। জেলা প্রশাসক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশের মধ্যে কিছু সূক্ষ্ম  পার্থক্য রয়েছে।ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিলো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের যেকোন সেবা মানুষের দোরগৌড়ায় পৌঁছে দেয়া আর স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং মোবাইল এর  মধ্যমে ঘরে বসে সরকারি বা বেসরকারি  প্রতিষ্ঠানের যে কোন সেবা পাওয়া। যার কিছু বাস্তবায়ন আপনারা দেখছেন এবং সেটার দ্বারা  উপকৃত হচ্ছেন যেমন ভূমি উন্নয়ন কর, স্মার্ট কৃষি সেবা এছাড়া বিভিন্ন দপ্তরের আপনারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পেয়ে যাচ্ছেন কাঙ্খিত সেবা। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশে প্রযুক্তিগত শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।