সামান্য বৃষ্টি হলেই কুমারখালী পৌর বাস টার্মিনালে জলাবদ্ধতা - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

সামান্য বৃষ্টি হলেই কুমারখালী পৌর বাস টার্মিনালে জলাবদ্ধতা

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪

মোশারফ হোসেন ॥ সামান্য বৃষ্টিতেই কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌর বাস টার্মিনালে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে চালক ও যাত্রীরা। সামান্য বৃষ্টিতেই  পৌর বাস টার্মিনালের বেশির ভাগ অংশই কাদাপানিতে ডুবে যায়। এজন্য অধিকাংশ দূরপাল্লার বাসের যাত্রীদের ওঠানামা করানো হয় প্রধান সড়ক থেকেই। শুধু বর্ষাকাল নয়, সারা বছরই বেহাল থাকে টার্মিনালটি। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন চালক ও যাত্রীরা। দুর্ভোগ লাঘবের আশ্বাস দেন পৌর কর্তৃপক্ষের।

শহর যানজটমুক্ত করতে ২০০৭ সালে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় এই বাস টার্মিনালটি। প্রতিদিন ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় দূরপাল্লার প্রায় শতাধিক বাসে প্রায় এক থেকে দেড় হাজার যাত্রী যাতায়াত করে এই বাস টার্মিনাল থেকে। কিন্তু এতদিনেও এই টার্মিনাল থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না যাত্রীরা। সামান্য বৃষ্টি হলেই টার্মিনালের ভেতরে ও আশপাশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। কাদা পানিতে একাকার হয়ে যায় টার্মিনাল।

এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন চালক ও যাত্রীরা। ঢাকাগামী যাত্রী আনিসুল  বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে কাদাপানি পার হয়ে টিকিট কাটতে হয়। অনেক সময় পাশ দিয়ে গাড়ি গেলে ময়লা পানিতে কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। তারপরও বাধ্য হয়ে টার্মিনালে প্রবেশ করতে হচ্ছে টিকিটের জন্য। আসলে এটা দ্রুত সংস্কার করা জরুরি। অটো চালক রমজান বলেন, ‘বাস-গাড়ি থেকে যাত্রী তুলতে টার্মিনালে গেলে অনেক সময় যাত্রীসহ গাড়ি উল্টে গর্তের মধ্যে পড়তে হয়। যার ফলে অনেক যাত্রী এখন টার্মিনালের মধ্যে প্রবেশ করে না। এর ফলে অটোতেও যাত্রী কম হচ্ছে। বাসচালক আল-আমিন বলেন, ‘টার্মিনালের ভেতরে কাদাপানি ও ছোট-বড় গর্ত থাকার কারণে যাত্রী-শ্রমিক সবাইকে পড়তে হচ্ছে চরম বিপাকে। ছোট-বড় গর্তের কারণে অনেক সময় গাড়ির পাতি ভেঙে যায়।

এ ছাড়া যাত্রীদের নামাতে গেলে অনেক সময় ময়লা পানির মধ্যেই নামিয়ে দিতে হয়। টার্মিনালটি সংস্কার করা না হলে দিনদিন যাত্রী কমে যাবে। কুমারখালী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. আকরামুজ্জামান, পৌর বাস টার্মিনালে জলাবদ্ধতার কথা স্বীকার বলেন, রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া মহাসড়ক  দুই ফুট উঁচু হাওয়ায় কারণে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে ওখানে। দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নেয়া আশ্বাস দেন পৌরসভার এই কর্মকর্তা। টার্মিনালটির সমস্যা সমাধানে আশ্বাস নয় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ চান স্থানীয়রা।