এই দানব সরকারকে যদি আমরা অপসারণ করতে না পারি বাংলাদেশ থাকবে কি না সন্দেহ আছে : সামসুজ্জামান দুদু
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় কুষ্টিয়া শহরের পুরাতন আলফার মোড়ে নবীন টাওয়ারের সজীব অডিটরিয়ামে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আয়োজনে কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুষ্টিয়া সদর আসনের সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের পরিচালনায় এবং জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক এমপি এবং বিএনপি’র চেয়ারপারর্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান দুদু।

এই দানব সরকারকে যদি আমরা অপসারণ করতে না পারি বাংলাদেশ থাকবে কি না সন্দেহ আছে : সামসুজ্জামান দুদু
এছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি’র খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, মিরপুর-ভেড়ামারা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, দৌলতপুর আসনের সাবেক এমপি এবং জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন এবং জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকারসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ।
বিএনপি’র খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন- চলমান এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসাবে আগামী ২৮ তারিখে ঢাকায় মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই মহাসমাবেশ সফলের লক্ষে সারা বাংলাদেশের সকল সাংগঠনিক ইউনিটে গত ২৪ তারিখে কর্মি সভা শেষ করার চেষ্টা করেছি। শুধু মেহেরপুর এবং কুষ্টিয়াতে আজকে (২৫ অক্টোবর) কর্মি সভা করতে হচ্ছে। আমাদের মূল্য লক্ষ্য হচ্ছে ২৮ তারিখের মহাসমাবেশ সফল করা এবং এই মহাসমাবেশে কুষ্টিয়া থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক নেতা কর্মিও উপস্থিতি নিশ্চিত করা ।
অনিন্দ্য ইসলাম অমিত তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আরো বলেন অতীতের অভিজ্ঞতায় আমরা জানি এই সমস্ত সমাবেশে যাওয়ার পথে ঢাকায় পথিমধ্যে কি ধরণের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। কিভাবে রাস্তা ঘাটে গাড়ী থেকে নামিয়ে মোবাইল চেক করা হয় । কিভাবে প্রতিটা পদক্ষেপে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়, এগুলো আমরা জানি। সে কারণে যত দ্রুত কিংবা ২৮ তারিখের যত আগে আমরা ঢাকায় পৌঁছাতে পারবো, সেইটিই আমাদেও জন্য সবচাইতে বেশী কাম্য। আমরা সেই চেষ্টাটিই করবো। এছাড়াও তিনি নেতা কর্মিদের ফেসবুকে ছবি বা পোষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান দুদু বলেন- একটা জলন্ত পাথর জোর করে বাংলাদেশের মানুষের কাঁধে ভর করেছে। দশটি বছর অন্যায় ভাবে, অবৈধভাবে, সংবিধান বর্হিঃভূতভাবে তারা ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। এই অবৈধ শক্তিকে অপসারণ করার জন্যই দীর্ঘ ১৫টি বছর এদেশের মানুষ কষ্ট করছেন, লড়াই করছেন, সংগ্রাম করছেন। এটা কল্পনার বাইরে, ধারণার বাইরে। পৃথিবীর আর কোন দ্বিতীয় রাষ্ট্রে কোন বিরোধী দল গণতন্ত্র চাওয়ার জন্যে, ভোট অধিকার পাওয়ার জন্যে, স্বাধীনতার জন্যে সোয়া লাখ মামলার ৪০ লাখ আসামী। কল্পনা করা যায় না। যেটা বাংলাদেশে কর্তৃত্ববাদী শাসকরা বিএনপি এবং বিরোধীদলীয় নেতা কর্মিদের উপর এটা করেছে।
সামসুজ্জামান দুদু আরো বলেন, এই সরকারকে যদি আমরা পরাজিত করতে না পরি তাহলে গণতন্ত্র ফেরত আসবে না। এই দানবকে যদি আমরা অপসারণ করতে না পারি বাংলাদেশ থাকবে কি না সন্দেহ আছে। এই কুষ্টিয়া প্রথম সম্মুখ সমরে পাকিস্থানীদেরকে পরাজিত করেছিলো। আমরা সেই জায়গায় আজকে দাঁড়িয়ে আমাদের গণতন্ত্রের কথা বলতে হচ্ছে, আমাদের লড়াইয়ের কথা বলতে হচ্ছে। সেজন্য আমাদের একটাই কাজ, শেখ হাসিনা’র পদত্যাগে বাধ্য করা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করা, পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেওয়া । কারণ এই পার্লমেন্ট নির্বাচিত না । সেই সাথে দায়িত্বপূর্ণ ব্যক্তিদেরকে নির্বাচন কমিশনে গ্রহণ যোগ্য পর্যায়ে বসানো। তাহলেই বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক সংকটসহ নানা রকম বালা মছিবত থেকে মানুষ মুক্তি পাবে। সেই লক্ষে ২৮ তারিখে ঢাকায় মহাসমাবেশ আহ্বান করা হয়েছে। সেই সমাবেশে সকলের উপস্থিতি হওয়া ছাড়া কোন পথ খোলা নাই।
