ইবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের আন্দোলনের পর বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় প্রশাসন ভবনের সামনে প্রায়অর্ধশত শিক্ষার্থী নিয়ে আন্দোলন করা হয়। আন্দোলন শেষে উপাচার্য কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রশাসনের কাছে শিক্ষার্থীরা তাঁদের দাবি তুলে ধরেন।

ইবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
বিষয়গুলো খুবই যৌক্তিক ও সমস্যা সমাধান করতে সবগুলোর কাজই ইতিমধ্যে চলমান বলে জানিয়েছেন উপাচার্য। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো – ১. পোষ্য কোটায় নির্ধারিত নাম্বার নির্ধারণ করা, ২.বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তা কর্তৃক শিক্ষার্থীদের হেনেস্তা বন্ধ, ৩. প্রশাসন ভবনে সার্টিফিকেট উত্তোলনের সময় ভোগান্তি নিরসন, ৪. দ্রুত ই-ব্যাংকিং চালু। এর বাহিরে প্রসঙ্গ টেনে তারা নিরবিচ্ছিন্ন ওয়াই-ফাই সেবা ও পরিবহন সেবায় ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন।
এ বিষয়ে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী কামাল হোসেন শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো তুলে ধরে বলেন, ‘পোষ্যকোটায় ভর্তিতে নাম্বার নির্ধারণ করতে হবে। প্রশাসন ভবনে আমরা যে পরিমাণ হেনেস্তা ও ভোগান্তির শিকার হই তা বন্ধ করতে হবে। ব্যাংকিং খাতে যে ভোগান্তি দ্রুত ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে তা সমাধান করতে হবে।’
এছাড়া তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন করতে এসেছি, না পড়াশোনা করতে এসেছি। আমাদের প্রতিটি সমস্যা সমাধান করতে হলে আন্দোলন ছাড়া সমাধান হয় না কেনো? ‘
![]()
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আজকের এই দাবিগুলো আমার মনে দোলা দিয়েছে। আমি আশ্বাস দিচ্ছিনা, তবে এতটুকু বলছি ই-ব্যাংকিং সেবার কাজ প্রায় শেষের দিকে। কর্মকর্তাদের দ্বারা ভোগান্তির শিকার বিষয়টা শুনলাম। সবার সাথে কথা বলে দেখি। ইতিমধ্যেই সমস্যাগুলোর সমাধানের চেষ্টা চলমান, যা প্রায় শেষের দিকে।’
