সাংসদের ভাইয়ের বিরুদ্ধে পেশীশক্তি ব্যবহারের অভিযোগ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

সাংসদের ভাইয়ের বিরুদ্ধে পেশীশক্তি ব্যবহারের অভিযোগ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর 

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: এপ্রিল ২৯, ২০২৪

নিজ সংবাদ ॥ দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশ উপেক্ষা করে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন কুষ্টিয়া-১ আসনের সাংসদ আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল হক চৌধুরীর ছোট ভাই বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী। নির্বাচনী প্রচার শুরু অনেকটা দেরি থাকলেও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি টোকেন চৌধুরীর দাপটে এরই মধ্যে শঙ্কিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। সাসংদ ভাইয়ের প্রভাব কাজে লাগিয়ে নির্বাচনী মাঠ দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছেন টোকেন চৌধুরী। এছাড়া সাংসদ রেজাউল হক চৌধুরী ভাইকে জেতাতে মাঠে নেমেছেন বলেও অভিযোগ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের। জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এখানে চেয়ারম্যান পদে লড়াইয়ে নেমেছেন ৩ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে রয়েছেন দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ওই আসনের সাংসদ রেজাউল হক চৌধুরীর ছোট ভাই বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী, তরুন আইনজীবী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুল আসকর হাসু ও  দৌলতপুর উপজেলা শ্রমিকলীগের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান। তবে ভোটের ফলাফল যাইহোক মূল লড়াইটা টোকেন চৌধুরী ও হাসানুল আসকর হাসুর মধ্যে হবে বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা। এদিকে, নির্বাচনী প্রচার শুরুর আগেই বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী মাঠে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে। দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশ উপেক্ষা করে সাংসদের আপন ভাই হয়েও প্রার্থী হয়েছেন টোকেন চৌধুরী। তিনি ভাইয়ের প্রভাবে এরই মধ্যে নির্বাচনী মাঠে ভীতিকর পরিবেশ তৈরী করেছেন বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এবারের নির্বাচনে টোকেন চৌধুরীর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হাসানুল আসকর হাসু। দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সাবেক সাংসদ প্রয়াত আফাজ উদ্দিন আহমেদের পরিবার ও সমর্থকদের প্রভাব চোখে পড়ার মত। আফাজ উদ্দিন আহমেদের ছোট ছেলে এজাজ আহমেদ মামুন দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান। তবে এবারের নির্বাচন লড়ছেন না তিনি। তিনি সমর্থন দিযেছেন হাসানুল আসকর হাসুকে। এছাড়া এ আসনের সদ্য বিদায়ী সাংসদ ও দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম সরোয়ার জাহান বাদশার নেতৃত্বাধীন দলের একটি বড় অংশও হাসুকে সমর্থন দিয়েছে। এতে হাসুর অবস্থান অনেকটা সুসংহত হয়েছে। এতে অনেকটা বেকায়দায় রয়েছে বর্তমান সাংসদের ভাই টোকেন চৌধুরী। দলের বৃহত্তম অংশের সমর্থন হাসুর পক্ষে চলে যাওয়ায় পেশিশক্তি ব্যবহার শুরু করেছেন টোকেন চৌধুরী। স্থানীয় আওয়ামী লীগে নেতা-কর্মীদের অভিযোগ সাংসদ রেজাউল হক চৌধুরী সরাসরি তার ভাই টোকেন চৌধুরীর পক্ষে মাঠে নেমেছেন। এরই মধ্যে ওই সাংসদ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি ও শিক্ষকদের সঙ্গে মিটিং করেছেন। তিনি (সাংসদ) টোকেন চৌধুরীর পক্ষে নির্বাচনী মাঠে কাজ করার জন্য তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। নির্বাচনে টোকেন চৌধুরীর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হাসনুল আসকর হাসু অভিযোগ করে বলেন, সাংসদ রেজাউল হক চৌধুরী ও টোকেন চৌধুরী দলের হাইকমান্ডের নির্দেশের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নির্বাচনী মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। এরই মধ্যে সাংসদ ও তার ভাই দলের তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের ভয় ভীতি দেখানো শুরু করেছেন। তিনি বলেন, দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী তার সঙ্গে রয়েছেন। নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী এলাকায় সহিংস পরিবেশ সৃষ্টি করছে। তবে হাসানুল আসকার হাসুর অভিযোগের বিষয়ে সাংসদের ভাই বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী বলেন, এসব অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। জনগন আমার সাথে আছে। জনগন আমাকে চাই। তাই প্রার্থী হয়েছি। কাউ ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ সঠিক নয়।