কুষ্টিয়ায় জাতীয় শ্রমিক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
দুনিয়ার মজদুর এক হও, বাংলার মেহনতি মানুষ এক হও এই স্লোগান কে সামনে রেখে কুষ্টিয়ায় জাতীয় শ্রমিক লীগের ৫৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২ অক্টোবর বিকেলে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান।

কুষ্টিয়ায় জাতীয় শ্রমিক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আনোয়ারুল হকের সভাপতিত্বে জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুকুল হোসেনের পরিচালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক ও কুষ্টিয়া জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক হাফিজ সরকার, জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বিশ্বাস, জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর ইকবাল সহ বিভিন্ন অংগসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান বলেন, জাতীয় শ্রমিক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, আপনারা জানেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আর তিন মাস বাকি আছে। তাই নিজেদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্বের কথা না বলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের কথা তুলে ধরতে হবে। আপনারা জানেন কুষ্টিয়ায় কি পরিমান উন্নয়ন হয়েছে। আজকে কুষ্টিয়া শেখ রাসেল সেতু হয়েছে, মেডিকেল হয়েছে, সুইমিং পুল হয়েছে, বাইপাস সড়ক হয়েছে, আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম হচ্ছে এছাড়া অহরহ উন্নয়ন হয়েছে। কুষ্টিয়া এই উন্নয়নের ধারক বাহক মাহবুব উল আলম হানিফ মহোদয়।
আজকের যে প্রেক্ষাপট নির্বাচন কীভাবে হবে বিদেশি পর্যবেক্ষক প্রতিদিনই বাংলাদেশে আসছে তারা দেখছে। তাই আজকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, সামনে জাতীয় নির্বাচনে কে অংশগ্রহণ করবে বা না করবে তাতে যায় আসে না। আগামী সংসদ নির্বাচন বর্তমান সরকারের অধীনে যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বলেন ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেতৃত্বে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করেছিলো এদেশের মানুষ যেদিন থেকে তিনি জাতির পিতা হয়েছিলেন সেদিন থেকে বাঙালিরা বীরের জাতীতে রূপান্তরিত হয়েছিলেন। দেশ আধুনিক পরেই স্বাধীনের পরেই শ্রমিকের অধিকার রক্ষা করতে কাজ করেছিলেন জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দেশের সকল বড় বড় মিল গুলো জাতীয়করন করেছিলেন তিনি। শেখ মুজিব সহ জাতীয় চার নেতা বাংলাদেশের জন্য রক্ত দিয়ে গেছে, তাই আসুন আজকে আমরা সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে এবং আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে জয়লাভ করাতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ কাজ করতে হবে।
