কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খাঁন বলেছেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা একজন আদর্শিক নারী ছিলেন। আমরা বঙ্গভবনে যে শপথ দিয়ে এসেছি তা কার্যকর করতে চাই। নিজের অবস্থান ঠিক করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন করেছে তা তুলে ধরতে হবে।

শেখ হাসিনাকে জয়ী করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সদর উদ্দিন খান
কুষ্টিয়ার জনমানুষের যে উন্নয়ন হয়েছে, তাতে করে সামনে নির্বাচনে জিতা কোন ব্যাপার নয়। দেশের অন্যান্য জেলার চাইতে অনেক সমস্যার মধ্যে, সেই তুলনায় কুষ্টিয়া অনেক ভালো আছে। দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে অনেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হতে চান। সে দিবা স্বপ্ন বাদ দিবেন। যারা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন দোষ ধরেন, তারা জামাত বিএনপির দোসর। দল নিয়ে কেউ সমালোচনা করবেন না। নিজের অবস্থানসহ সবকিছুর রক্ষা করার স্বার্থে শেখ হাসিনাকে জয়ী করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বিএনপি দেশে কোন কাজ করে নাই। তাই তারা আগামী নির্বাচনে ভোট পাবে না। শেখ হাসিনা মানবতার জননী। তাই খালেদা জিয়াকে বাড়িতে রেখেছে। তাও বিএনপি নেতারা বড় বড় কথা বলে। বিএনপি নেতারা বড় বড় কথা বলে বেশি বাড়াবাড়ি করলে কারাগারে নিক্ষিপ্ত হবে।
অপরদিকে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আজগর আলী বলেছেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও প্রেরণা। দলের দুর্দিনে বেগম ফজিলাতুন্নেছা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অনুপ্রেরনা যুগিয়েছেন। বঙ্গমাতা ছিলেন একজন সুখি রমণী। পর্দার আড়ালে থেকে তিনি বঙ্গবন্ধুকে সহায়তা করেছেন। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বঙ্গমাতা কাজ করেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে প্রতিষ্ঠিত করার পেছনে বঙ্গমাতার অবদান অনেক। তিনি আরো বলেন, পরিবার থেকে দলের অবস্থান তৈরি করতে হবে। নিজের বাড়ি থেকে নিজেকে তৈরি করতে হবে। জামাত শিবিরকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে সংগঠনকে দাঁড় করানো যাবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাস করে না, তাদের দিয়ে সংগঠন করা যাবে না। জামাত-শিবির-বিএনপি আমাদের শুভাকাঙ্খী হতে পারে না। সামনে জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে জামাত বিএনপিরা উঠেপড়ে লেগেছে। তাই আমাদের দলের মধ্যেকার সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামীলীগকে জয়ী করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

মঙ্গলবার (৮আগষ্ট) বিকাল ৪টার সময় কুষ্টিয়া শহরের এন এস রোডে বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেটে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়ার অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
জন্মবার্ষিকীর এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খাঁন। কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলীর পরিচালনায় সভার শুরুতে কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন কুষ্টিয়া জেলা তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ও সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
পরে সভায় বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি চৌধুরী মোর্শেদ আলম মধু, ডাঃ আ ফ ম আমিনুল হক রতন, এ্যাডঃ অনুপ কুমার নন্দী, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক বাবু স্বপন কুমার ঘোষ, প্রকৌশলী ফারুকুজ্জামান ফারুক, সাংগাঠনিক সম্পাদক হাসানুর আসকর হাসু, আমজাদ হোসেন রাজু, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আ স ম আক্তারুজ্জামান মাসুম, কুষ্টিয়া শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা তাইজাল আলী খান,কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার ইকবাল মাহমুদ, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সাবেক ছাত্র নেতা হাবিবুল হক পুলক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিজ, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডঃ শীলা বসু, কুষ্টিয়া জেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মুকুল হোসেন প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, দপ্তর সম্পাদক হাজী তরিকুল ইসলাম মানিক ,কুষ্টিয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জেব উন নিসা সবুজসহ জেলা আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ । সভা শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
