ইবি প্রতিনিধি ॥ কোটা আন্দোলন ঘিরে দেশব্যাপী শিক্ষার্থী হত্যার বিচারসহ ৯ দফা দাবিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। গতকাল শনিবার (৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অনুষদ ভবন থেকে বৈষম্য বিরোধী সচেতন শিক্ষক সমাজের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষকরা। এদিকে একই সময়ে ডায়না চত্ত্বর থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র ব্যানারে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
পরে মিছিল দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে মিলিত হয়। এসময় শিক্ষকরা সেখানে সংহতি সমাবেশ শুরু করেন। এদিকে শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের সামনে দেড় ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করেন।
সমাবেশে শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে যেভাবে নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছে, তাদের উপর যেভাবে হামলা, হয়রানি ও গণ গ্রেফতার চালানো হচ্ছে, একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।
স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনেও ছাত্রদেরকে এতো প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়নি, আজকের ছাত্রসমাজ যতটা প্রাণ দিয়েছে। দুইশতাধিক প্রাণের বিনিময়ে কোটা মেনে নিলেও শিক্ষার্থীদের এই রক্তঝরা তাজা প্রাণের সাথে নাটক করা হচ্ছে। অনতিবিলম্বে কোটা আন্দোলন ঘিরে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তার সুষ্ঠু বিচার করতে হবে। এসময় শিক্ষার্থী প্রদানকৃত ৯ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলকে আহ্বান জানান শিক্ষকরা।
এছাড়া দাবি পর্যন্ত আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা। এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা আমাদের ভাইয়ের হত্যার বিচারের জন্য ৯ দফা দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু আপনারা আবারো আমাদের উপর হামলা করলেন।
এখন আমাদের আর ৯ দফা নেই এখন আমরা সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আগামীকাল থেকে আমরা অসহযোগ আন্দোলন শুরু করবো। দেশের সকল আমজনতাকে আমদের কর্মসূচীতে অংশ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আবাসিক হল খুলে দেয়ার আল্টিমেটাম দেয়া হলো। এর মধ্যে হল না খুললে আমরা আমাদের মতো ব্যবস্থা নিবো। এদিকে সামাবেশ শেষে ইবি শাখা ছাত্রলীগের কার্যালয় ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীদের একাংশ। এছাড়া দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রধান ফটকে দেশরত্ন মুছে দিয়ে ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনা হল’ লিখে দিয়েছে ছাত্রীরা।
