হরিপুরের শহীদ আসলাম স্মৃতি সংঘের অস্তিত্ব বিলীন
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নে শালদাহ গ্রামের সন্তান মেধাবী ছাত্র, রাজনীতিবিদ ও ক্রীড়া প্রেমী শহীদ মোঃ আসলাম হোসেন জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৯৪ সালের ১লা মে শহীদ আসলাম হোসেন শালদাহ বাসীর ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিজের জীবন উৎসর্গ করেন।

হরিপুরের শহীদ আসলাম স্মৃতি সংঘের অস্তিত্ব বিলীন
প্রতিষ্ঠিত হয় একটা জনপদের ন্যায় বিচার ব্যবস্থা। আজ শহীদ আসলাম হোসেনের ২৯তম মৃত্যু বার্ষিকী। শহীদ আসলাম হোসেনের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য শালদাহ গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের দি ওল্ড কুষ্টিয়া হাইস্কুল ফুটবল মাঠের পাশেই প্রায় দেড় যুগ ধরে শহীদ আসলাম স্মৃতি সংঘ সুনামের সাথে খেলাধূলায় বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে ছিলো।
হরিপুরের শালদাহ গ্রামের সন্তান মেধাবী ছাত্র, রাজনীতিবিদ ও ক্রীড়া প্রেমী শহীদ মোঃ আসলাম হোসেনের স্মৃতি রক্ষার্থে শহীদ আসলাম স্মৃতি সংঘ প্রতিষ্ঠা করা হয়। শহীদ আসলাম স্মৃতি সংঘ হরিপুর ইউনিয়ন ছাড়াও বিভিন্ন জেলায় খেলাধূলায় বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে ছিলো। এই ক্লাবের প্রত্যেকটি খেলোয়াড়দের খেলার নৈপুণ্যে দেখে দর্শকদের মাঝে কৌতুহল জেগে উঠতো। শহীদ আসলাম স্মৃতি সংঘের প্রতিটি খেলোয়াড়দের মাঠ দাপিয়ে খেলার সেই চমক আর দেখা যায় না। মাঠে মাঠে আর দর্শকের মুখে মুখে শোনা যায় না শহীদ আসলাম স্মৃতি সংঘ জিতবে জিতবে। খেলার মাঠে আর কোন ঝলক চোখে পড়ে না। দর্শকদের মাঝেও যেনো উৎসবমুখর পরিবেশ হারিয়ে গেছে। কেননা সেই শহীদ আসলাম স্মৃতি সংঘের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে।
দি ওল্ড কুষ্টিয়া হাইস্কুল ফুটবল মাঠের পাশে কোনরকম একটা ঘরকে স্মৃতি করে চলতো শহীদ আসলাম স্মৃতি সংঘের কার্যক্রম সেটা আজ বিলীন হয়ে গেছে। কয়েকজন ক্রীড়া প্রেমী অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তা নির্মাণ করার জন্য হরিপুরের বহু স্মৃতির শহীদ আসলাম স্মৃতি সংঘ ভেঙে ফেলা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুনরায় নির্মাণ করার কথা থাকলেও সেটা আজও করা হয়নি।

শহীদ আসলাম স্মৃতি সংঘ পুনরায় নির্মাণ না করা হওয়ায় ক্রীড়া প্রেমী ছাড়াও সকল শ্রেণী পেশার মানুষদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাই ক্রীড়া প্রেমী ও এলাকাবাসীদের দাবি কোন মিথ্যা স্বান্তনা নয় শহীদ আসলাম স্মৃতি সংঘের পুনরায় রুম তথা ক্লাবের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ঘরের বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
