সবার দৃষ্টি কেড়েছে ২২ মণ ওজনের ষাঁড় রাজা মিয়া
ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড় এবার কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে, কুমারখালী সবার দৃষ্টি কেড়েছে ২২ মণের ষাঁড় ‘রাজা মিয়া’। জেলার কুমারখালী উপজেলার সদকী ইউনিয়নের উত্তর মুল গ্রামের প্রবাসী জসিমের স্ত্রী হালিমা খাতুন এই ষাঁড়টির মালিক। উপজেলার মধ্যে সুদর্শন ও বড় হিসেবে আলোচিত গরুটি দেখতে প্রতিদিন তার বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক জনতা। দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন ক্রেতারাও। মালিক দাম হাঁকছেন ১২ লাখ টাকা।

সবার দৃষ্টি কেড়েছে ২২ মণ ওজনের ষাঁড় রাজা মিয়া
ষাঁড়টির মালিক হালিমা খাতুন জানান, ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড়ের ওজন এখন প্রায় ৯০০ কেজি। প্রতিদিন এর ওজন দেড় থেকে দুই কেজি করে বাড়ছে। সারাদিনই ‘ রাজামিয়ার’ যত্ন করতে হয়। খাওয়ানো, গোসল করানো ও পরিচর্যাসহ সবকিছু লক্ষ্য রাখতে হয়। গরুটির যতটা না ওজন তার চেয়ে বেশি এটি সুন্দর। ৪৮ মাস বয়সী দুই দাঁতের এই গরুটিকে এখন প্রতিদিন ২০ থেকে ২২ কেজি করে খাবার দিতে হচ্ছে। খাবারের তালিকায় রয়েছে নিজস্ব জমির কাঁচা ঘাস, শুকনো খড়, গমের ভুষি, খেসারির ভুষি, ভুট্টাভাঙা ও কলা। উপজেলা ও এলাকার মধ্যে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বড় ও সুন্দর গরুর তালিকায় ‘ রাজা’ অন্যতম।
হালিমা আরো জানান, তার বাবার কাছ থেকে ৪ বছর আগে এক বছর বয়সী ‘রাজা’কে নিয়েছিলেন তিনি। এটিকে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করার প্রক্রিয়া শুরু করেন। এর খাবারের চাহিদা মেটানোর জন্য বাড়ির পাশে একটি বিশাল ঘাসের জমিও করেছেন তিনি।
ভালো দামে এবার গরুটি বিক্রি করতে পারলে, আগামীতে এ ধরনের আরো গরু তৈরি করতে তিনি উৎসাহ পাবেন বলেও জানান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, গরুটির মালিক একজন সফল উদ্যোক্তা। এবার প্রথম বড় জাতের গরু মোটাতাজা করেছেন তিনি। গরুটি লালন-পালনে হালিমা খাতুন কোনো ধরনের হরমোন বা স্টেরয়েড ব্যবহার করেনি।
