কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের শেখ রেজাউল করিম নামে এক খামারির গোয়াল ঘরে রহস্যজনক আগুনে গর্ভবতী গাভীসহ চারটি গরু ও একটি ছাগল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এছাড়াও দুইটা গরু ও তিনটি ছাগল আগুনে পুড়ে দগ্ধ হয়েছে।

কুষ্টিয়ায় গোয়ালে রহস্যজনক আগুনে গরু ও ছাগল পুড়ে ছাই
বৃহস্পতিবার (১০ আগষ্ট) কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শেখ রেজাউল কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত শেখ আলাউদ্দিনের ছেলে।
ক্ষতিগ্রস্ত গো খামারি শেখ রেজাউল জানান, প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার গরুগুলোকে গোয়াল ঘরে রেখে দরজায় তালা মেরে রাখি। কিন্তু রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে প্রতিবেশীদের চিৎকারে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি আমার গোয়ালঘরে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে।
আগুনের ভয়াবহতা এতটাই তীব্রতর ছিল যে গোয়াল ঘরের পাশের যাওয়া যাচ্ছিলনা। পরবর্তীতে স্থানীয়রা পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে গিয়ে দেখি আমার গোয়ালঘরে থাকা ৬টা গরুর মধ্যে চারটা গরু ও ৪টা ছাগলের মধ্যে ১টা ছাগল পুরে অঙ্গার হয়ে যায়। আমি এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি। গরুর দুধ বিক্রি করে আমার সংসার চলত। এগুলো আমার সন্তানের মত ছিল। চারটি গরুর মধ্যে একটি গাভীর পেটে বাচ্চা ছিল। তিনি আরো বলেন, আমার প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
![]()
এদিকে একটি সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে শেখ রেজাউলের পরিবারের সাথে প্রতিবেশী আলামিন মন্ডল গংদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল।
এবিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন শেখ রেজাউলের ছেলে শেখ পারভেজ। সাধারণ ডায়েরী নং-৮৯৩, তারিখ ১১ আগষ্ট ২০২৩।
কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জানে আলম জানান, ১২.১০টার দিকে ম্যাসেজ পাই। পরে সেখানে গিয়ে দেখি স্থানীয়রা আগেই আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। গোয়াল ঘরে থাকা চারটি গরু ও একটি ছাগল পুড়ে ছাই হয়েছে।
