কুমারখালীর পৌরসভার মেয়র সহ ২২ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

কুমারখালীর পৌরসভার মেয়র সহ ২২ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: মার্চ ৭, ২০২৩
কুমারখালীর পৌরসভার মেয়র সহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সামছুজ্জামান অরুনসহ ২২ জনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

কুমারখালীর পৌরসভার মেয়র সহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কুমারখালীর পৌরসভার মেয়র সহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কুমারখালীর পৌরসভার মেয়র সহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

 

মামলায় অপরাধমূলক অসদাচরণ করে পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে রেকর্ডপত্র সৃজন এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১০, ২০১৩ ও ২০১৮ এর বিধিবিধান এবং সরকারি প্রজ্ঞাপনের নিয়ম ভঙ্গ করে কুষ্টিয়ার কুমারখালী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষক/কর্মচারী পদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন- কুমারখালী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কাশেম, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি মো. সামসুজ্জামান অরুন, শিক্ষক প্রতিনিধি ও ভোকেশনাল শাখা ট্রেড ইন্সট্রাক্টর মো. আব্দুস সাত্তার ও সহকারী শিক্ষক (গণিত) মো. খলিলুর রহমান।

কুমারখালীর পৌরসভার মেয়র সহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কুমারখালীর পৌরসভার মেয়র সহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

 

এ ছাড়া নিয়োগপ্রাপ্ত ১৮ জনকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- আসমা বেগম মালা, এস এম আতি বিন বাপ্পী, কুতুবুল আলম, মনিরা পারভীন, লুৎফুন নাহার লাবনী, শেখ মো. সেলিম রেজা, সাম্মী আখতার, আবদুল্লাহ মোহাম্মাদী, মো. আমিরুল ইসলাম, মো. শহিদুল ইসলাম, বাসনা রানী কর্মকার, রুপালী খাতুন, সনজিত কুমার বাঁশফোর, মো. নাসিম হোসেন, মো. আলমগীর হোসেন, মো. আমিরুল ইসলাম, খাদিজাতুল কোবরা ও আব্দুল্লাহ আল মামুন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে রেকর্ডপত্র সৃজন এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এম. পি. ও নীতিমালা, ২০১০, ২০১৩ ও ২০১৮ এর বিধিবিধান এবং সরকারি প্রজ্ঞাপনের নিয়ম ভঙ্গ করে শিক্ষক ও কর্মচারী পদে নিয়োগ দিয়েছেন।

 

google news

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

এজাহারে আরও বলা হয়, নিয়োগের সময় বিদ্যালয়টির তৎকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটির অন্যান্য সদস্যদের বাদ রেখে নিয়োগ পরীক্ষার মূল্যায়নপত্রে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. সামসুজ্জামান অরুন ও প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কাশেমসহ শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে আব্দুস সাত্তার এবং ভোকেশনাল শাখার ট্রেড ইন্সট্রাক্টর মো. খলিলুর রহমানের স্বাক্ষরে শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।

এ ছাড়া বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এম. পি. ও নীতিমালা, ২০১০, ২০১৩ ও ২০১৮ অনুযায়ী উক্ত বিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো শিক্ষক/কর্মচারীর শূন্য পদের প্রাপ্যতা না থাকলেও এমনকি মাউশি বা শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অনুমতি না থাকলেও বিধিবর্হিভূতভাবে পরস্পর যোগসাজশে অপরাধমূলক অসদাচরণ, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ১৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে বিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে মর্মে উল্লেখ করা হয়।

আরও পড়ুন: