আব্দুস সবুর ॥ হায়দার আলী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের উপযুক্ত তথ্যপ্রমানাদি থাকার পরেও মুক্তিযুদ্ধ জাতীয়করণ তালিকাতে অন্তর্ভুক্ত করেন নাই, যার বিনিময়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।কুষ্টিয়া দৌলতপুর ফিলিপনগর ইউনিয়ন,ইসলামপুর ফরাজী পাড়া বাসিন্দা মৃত আজহার আলীর ছেলে মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী, মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত করে দিয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ও অসৎ উপায়ে ভাতা প্রাপ্তির সুযোগ করে দিয়েছেন।দৌলতপুর উপজেলার সাবেক দুই এমপির ছত্রছায়ায় হায়দার আলীর দুর্নীতি ও অনিয়মের রজত্ব গড়েছিলেন।
১৯৭১ সালে সকলের ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে গিয়েছিলেন অনেক মুক্তিযোদ্ধারা,যাহারা পূর্বে তালিকাভুক্ত হতে পারেনি মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলীর কারনে, সিন্ডকেট করে আওয়ামী লীগ দলীয় মতাদর্শের বিরোধের কারনেই এমনটা করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী। কুষ্টিয়া দৌলতপুরে মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী সিন্ডিকেট প্রধান “হায়দার আলী প্রায় ১৬ টি বছর দৌলতপুরে এই সিন্ডিকেট করে ঘুষ বানিজ্য করে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ হতে নগদ অর্থ বিনিময়ে করেছেন, যুদ্ধকালীন সময়ের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের কাগজপত্র প্রমানাদি থাকার পরোও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে দেননি হায়দার আলী। তবে এই হায়দার আলী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের উপযুক্ত তথ্যপ্রমানাদি থাকার পরেও মুক্তিযুদ্ধ জাতীয়করণ তালিকাতে অন্তর্ভুক্ত করেন নাই।
এছাড়া হায়দার আলী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কি না তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “গায়ের লোক জানে,মুক্তিযোদ্ধা বানায়ে দিছিলো তাই হয়েছি। মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী ফিলিপ নগর মরিচা ইউনিয়নের ১১৭ জন ব্যক্তির কাছ থেকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে দেবেন বলে গরু বিক্রী করে,ছাগল বিক্রী করে টাকা নিয়েছে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে,আর এই ভুক্তভোগীদের মধ্যে সিংহ ভাগই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের সনদধারী,আর অন্যান্যগুলোকে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে দেবেন বলে নিয়েছেন নগদ অর্থ। এছাড়া হায়দার আলী ২০০৬ সাল হতে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পারিবারিক ভাবে ছিলেন অস্বচ্ছল। ২০০৮ সাল পরে হতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ও ২০১৪ সাল থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত লুটিয়ে দুর্নীতি করেছে, খড়ের বাড়ি থেকে ৫ তলা বিশিষ্ট বাড়ি করেছেন। কিনেছেন অঢেল সম্পত্তি।
এদিকে হায়দার আলীর মেজ মেয়ে হামিদা ইয়াসমিন হ্যাপী মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সহকারী ফুড ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত বর্তমান কুষ্টিয়া সদর উপজেলাতে পোস্টিং, হায়দার আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে নয়ন কুষ্টিয়া কুমার খালী আনসার বিভাগের (টিআই) ট্রেনিং ইন্সট্রাক্টর পদে কর্মরত।ছোট মেয়ে শ্যামরোজ সুলতানা হেলেনা দৌলতপুর উপজেলার দিঘলকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত। উল্লেখিত হায়দার আলীর ছেলে মেয়েদের চাকুরীর লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছিলেন অন্যজন।তবে বাদ পড়া প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে ও ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কৌশলে সরকারী ভাতা পাইবার ব্যবস্থা করে দিয়েছে যাহা তদন্ত করলে স্পষ্ট বেরিয়ে আসবে এলাকাবাসীর দাবী এবং হায়দার আলী মুক্তিযোদ্ধাদের নামে-বেনামে রাষ্ট্রীয় টাকা আত্মসাৎ করেছেন। উল্লেখিত বিষয় হায়দার আলী মুঠোফোন(মোবাইল) নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য একাধিকবার ফোন করা হলে, হায়দার আলী ফোন রিসিভ করেনি।
