মিরপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার মিরপুরে অর্শ ও এজমা রোগের চিকিৎসার নামে হালুয়া তৈরী করে তার সাথে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে একই পরিবারের চারজনকে খাওয়ায় একটি ভন্ড কবিরাজ প্রতারক চক্র। পরে উক্ত হালুয়া খেয়ে ৪ জনই অজ্ঞান হয়ে পড়লে বাড়ির আসবাবপত্র ভেঙ্গে আড়াই লক্ষ টাকা, স্বর্ণালংকার ও দামী জিনিসপত্র নিয়ে সটকে পড়ে ঐ প্রতারক চক্রটি। গতকাল শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাত ১২টা ০১ মিনিটে মিরপুর রেলওয়ে ষ্টেশন আদিবাসী পাড়া তথা কোল পাড়ায় অনিল কুমার বেদের বাড়িতে এঘটনা ঘটে।এতে ঐ বাড়ির মালিক অনিল কুমার বেদ, তার স্ত্রী নলিতা রানী বেদ, মেয়ে পিংকী রানী বেদ ও জামাই উজ্জ্বল কুমার বেদকে বাড়ির আশে পাশের লোকজন সকাল বেলা অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাদের জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করে।
অন্য তিনজনের জ্ঞান না ফিরলেও জামাই উজ্জ্বলের জ্ঞান ফিরলে তিনি জানান-ভেড়ামারায় আমার একটি স্বর্ণকারের দোকানে স্বর্ণালংকার বন্ধক রাখা আছে।তা ছাড়ানোর জন্য আমি আড়াই লক্ষ টাকা যোগাড় করে বাড়িতে রেখেছিলাম। তাছাড়া বাড়িতে কিছু স্বর্ণালংকারও ছিলো। প্রতারক চক্র যে কোন ভাবে বিষয়টি জানতে পেরে গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই টার্গেট করে। দুইজন লোক ভন্ড কবিরাজ সেজে আমার শ্বশুর অনিল কুমার বেদের অর্শ ও হাপানি রোগের চিকিৎসার নাম করে আমাদের বাড়িতে ঢোকে। পরে তারা ঔষধ বানানোর বিভিন্ন উপকরণ এনে ঔষধ বানানোর কাজে সময়ক্ষেপন করে রাত গভীর হলে জানায় যে তৈরীকৃত হালুয়া বৃহস্পতিবার দিবাগত শুক্রবার রাত ১২ টা এক মিনিটে খেতে হবে এবং সবাইকে একযোগে খেতে হবে। পরে প্রতারক চক্র চারজনকেই হালুয়া খাওয়াতে সক্ষম হয়। হালুয়ার মধ্যে কৌশলে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে দেয়ায় তারা অজ্ঞান হয়ে পড়লে বাড়ির আলমারি ভেঙ্গে নগদ আড়াই লক্ষ টাকা সহ স্বর্ণালংকার নিয়ে প্রতারক চক্র পালিয়ে যায়। সুস্থতা সাপেক্ষে এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।
