মিরপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়া ০২ আসনের জামাতের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, কুষ্টিয়া জেলা জামাতের নায়েবে আমীর ও সাবেক মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বলেছেন- শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের জনগণের জীবন ছিল দুঃসহ কালরাত। মানুষের মুখে ছিল তালা, হাতে ছিল হ্যান্ডকাফ, পায়ে ছিল বেড়ি। গতকাল বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড যুগিপোল জামে মসজিদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ও নিহতদের জন্য দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘টানা ১৭ বছর ৬ মাস এ জাতি বন্দিত্বের নিগড়ে বন্দি ছিল। মানুষের মুখে ছিল তালা, হাতে ছিল হ্যান্ডকাফ, পায়ে ছিল বেড়ি। এ দেশের ১৮ কোটি মানুষ ছিল মজলুম এবং রাস্তায় যে ভাইটি ভিক্ষা করতেন তিনিও মজলুম। কারণ ওই সব ভিক্ষুককে চাঁদা দিতে হতো গুণ্ডাদের কাছে। চাঁদা না দিলে তারা ভিক্ষা করতে পারতেন না। ৩০ টাকার পেঁয়াজ ৩০০ টাকায় কিনতে হতো। এভাবে প্রত্যেকটি মানুষ ছিল জুলুমের শিকার।
তিনি আরো বলেন, ‘এই সাড়ে ১৭টি বছর বাংলাদেশের জনগণের জীবনে ছিল দুঃসহ কালরাত। আপনার বলবেন, এই সাড়ে ১৭ বছর কিভাবে মেলে। আওয়ামী লীগ তো সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিল। আসলে তারা সাড়ে ১৭ বছর ছিল। তারা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা দেশে লগি-বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে শখানেক মানুষকে তারা হত্যা করেছিল। ফ্যাসিবাদের সূত্রপাত তখনই হয়েছিল। স্বৈরাচারের পদধ্বনি তখন থেকেই এসেছিল।
তারপর আপনারা দেখেছেন ২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি ক্ষমতায় আসার পরে তারা রাষ্ট্রের গর্বিত প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনীর গায়ে আঘাত দিয়েছিল। যুগিপোল জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর জামাতের আমীর মাওলানা ওমর ফারুক,মিরপুর নাজমুল উলুম সিঃ ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক।বলিদাপাড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর শিক্ষক মাওলানা সুলাইমান মাষ্টার,৪নং ওয়ার্ড জামাতের সভাপতি হামিদুল ইসলাম মাষ্টার,৯ নং ওয়ার্ড জামাতের সভাপতি মাওলানা আবু তাহের,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল হাশেম,শহিদুল ইসলাম জন, মাওলানা সিফাত উল্লাহ প্রমুখ।
