মিরপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার মিরপুরে চোরচক্র যেন মিরপুরকে চুরির স্বর্গরাজ্য বানিয়ে ফেলেছে, কোনভাবেই তাদের চুরির থামাতে পারছেনা স্থানীয় প্রশাসন। গত শুক্রবার রাতে ৫টি গরু চুরি, দিনে ৪টি মোটরসাইকেল চুরির ২দিনের মাথায় এবার একরাতে ৩টি সেচপাম্প চুরির ঘটনা ঘটেছে। সেচপাম্প ৩টির আওতায় প্রায় একশো বিঘা জমি চাষাবাদ হতো। সেচপাম্প চুরি হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে প্রায় শতাধিক কৃষক। গতকাল সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার মিরপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড মোশারফপুর মাঠে একই গ্রামের রতন মন্ডল, পল্টু প্রামানিক ও তারিক আলী প্রামানিকের মালিকানাধীন ৩টি সেচপাম্প চুরি হয়েছে যার দাম একলক্ষ দশ হাজার টাকা বলে জানা গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পাম্প মালিক মোশারফপুর গ্রামের কিতাব আলী প্রামানিকের ছেলে পল্টু প্রামানিক (৪২) আমি একজন সেচ কাজে ব্যাবহৃত শ্যালো মেশিন চালক।
আমার গ্রামের মোশারফপুর মাঠে আমার একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত সেচ পাম্প বসানো আছে। উক্ত সেচ প্রকল্পের আওতায় পঁচিশ বিঘা জমি আবাদ হয়।উক্ত শ্যালো ইঞ্জিনচালিত সেচ পাম্প চালিয়ে আমি আমার জীবিকা নির্বাহ করি। প্রতিদিনের ন্যায় গত রবিবার সন্ধা আনুমানিক সাড়ে ৫টার সময় আমি আমার শ্যালো ইঞ্জিনচালিত পাম্প দেখভাল করে আমি আমার বাড়ীতে চলে আসি। পরবর্তিতে গতকাল সোমবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৬টার সময় মোশারফপুর মাঠে আমার শ্যালো ইঞ্জিনচালিত সেচ পাম্প সেট যেখানে বসানো আছে সেখানে গেলে দেখতে পাই,
আমার উক্ত শ্যালো ইঞ্জিনচালিত সেচ পাম্পটি সেখানে নেই। আমার ধারনা আমার উক্ত শ্যালো ইঞ্জিনচালিত সম্পুর্ন সেচ পাম্প সেটটি রবিবার সন্ধা আনুমানিক সাড়ে পাচটা হতে সোমবার আনুমানিক সাড়ে ৬টার মধ্যে কে বা কারা নিয়ে চলে যায় যার বাজার মূল্য চল্লিশ হাজার টাকা। শ্যালো ইঞ্জিনচালিত সেচ পাম্পটির সাইফেং চায়না, রং-লাল, ১২ হর্স পাওয়ারের। মোশারফপুর গ্রামের বিএনপি নেতা সেলিম মন্ডল জানান-আমার গ্রামের পল্টু প্রামানিক ছাড়াও রতন মন্ডল ও তারিক প্রামানিকের ৭০হাজার টাকা মূল্যমানের ০২টি সেচপাম্প চুরি করে নিয়ে গেছে। মোশারফপুর মাঠে এখন চাষাবাদের ভরা মৌসুম। ৩টা সেচপাম্প চুরি হয়ে যাওয়ায় মাঠের চাষীরা মারাত্মক বিপাকে পড়েছে।আমি চাই প্রশাসন চোরদের খুজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি দিক,যাতে চোরচক্র তাদের চাষাবাদে বিঘ্ন ঘটাতে না পারে।মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম জানান-এ বিষয়ে মিরপুর থানায় ৩টি আলাদা অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এধরনের অপকর্ম যারা করছে,তাদেরকে অচিরেই আইনের আওতায় আনা হবে।
