মিরপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার মিরপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চাচীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে ভাতিজি। গতকাল শুক্রবার সকালে মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত নারী বর্তমানে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মেয়ে বাদী হয়ে মিরপুর থানায় অভিযোগ করেছে বলে জানা গেছে। আহত নারীর নাম ফরিদা খাতুন (৫০)। তিনি সাহেবনগর গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী।
ফরিদা খাতুনের মেয়ে রিমা খাতুন জানান-সাহেবনগর গ্রামের ফজলু মৃধার ছেলে রনি আমার চাচাতো ভাই ও প্রতিবেশী। পূর্ব থেকে তাদের সাথে আমাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে রনি বিভিন্ন সময় আমার মা ফরিদা খাতুনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতো। ভবিষ্যতে খুন-জখমের ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। আমার মায়ের নিজ নামীয় জমির উপরে থাকা মেহেগুনি গাছ রনি কেটে নেওয়া পায়তারা করতে থাকে।
আমার মা আসামীকে নিষেধ করলে আসামী আমার মা’ কে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। গতকাল বেলা ১০টার সময় উপরোক্ত আসামী আমার মায়ের জমিতে থাকা উক্ত গাছ কাটার প্রস্তুতি নিতে থাকে। ঐ সময় আমার মা আসামীকে গাঁছ কাটতে নিষেধ করায় রনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মা’কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতঃ আমার মায়ের চুলের মুঠি ধরে টানা হেঁচড়া করে মাটিতে ফেলে দলাইয়া পাড়াইয়া মারাপন্ন অবস্থার সৃষ্টি করে।
এমনকি উক্ত আসামী আমার মায়ের পরনের কাপড় চোপড় টানা হেঁচড়া করে ছিড়ে ছুটে বেআবরু করতঃ শ্লীলতা হানী ঘটায়। আমার মায়ের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীর কবল হতে আমার মাকে রক্ষা করে। ঐ সময় আসামী আমার মা’কে ভবিষ্যতে খুন-জখমের ভয়ভীতি দেখায়ে চলে যায়। আমি সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থালে এসে, আমার মা’কে জখম অবস্থায় পেয়ে উপস্থিত লোকজনদের সহায়তায় পথচলিত অটোযোগে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি। এ ব্যাপারে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা হাবিবুল্লাহ জানান-অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
