কুষ্টিয়ায় মাশরুম চাষে মাসে লাখ টাকা আয় সাইফুলের - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

কুষ্টিয়ায় মাশরুম চাষে মাসে লাখ টাকা আয় সাইফুলের

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: অক্টোবর ১০, ২০২৩
কুষ্টিয়ায় মাশরুম চাষে মাসে লাখ টাকা আয় সাইফুলের

নানান পুষ্টি গুনে ভরা মাশরুম চাষ করে মাসে লাখ টাকা আয় করছেন যুবক সাইফুল ইসলাম। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পশ্চিম কাস্টমমোড় এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে সাইফুল ইসলাম। পড়াশোনা শেষ করে চাকুরীতে ঢুকেন এবং বিভিন্ন ব্যবসা করে সফল না হতে পেরে মাশরুম চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে সাভার মাশরুম সেন্টার থেকে ১০ দিনের প্রশিক্ষণ  নিয়ে ৫ বছর আগে এম এস মাশরুম সেন্টারে মাশরুম চাষ শুরু করেন। কঠোর পরিশ্রম আর শক্ত মনোবলের কারণে মাশরুম চাষে সফলতা আসতে শুরু করে সাইফুল ইসলামের।

কুষ্টিয়ায় মাশরুম চাষে মাসে লাখ টাকা আয় সাইফুলের

কুষ্টিয়ায় মাশরুম চাষে মাসে লাখ টাকা আয় সাইফুলের

কুষ্টিয়ায় মাশরুম চাষে মাসে লাখ টাকা আয় সাইফুলের

সাইফুল ইসলামের এম এস মাশরুম সেন্টার থেকে দুই প্রকার মাশরুম চাষ হয় যার একটা হলো ওয়েস্টার মাশরুম যার কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা আরেকটি হলো ঋষি  মাশরুম যাকে অনেকে ওষুধী মাশরুম বলে থাকে যার কেজি ৫ হাজার টাকা করে। এম এস মাশরুম সেন্টার থেকে সাইফুল গড়ে ২০ কেজি তরতাজা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ মাশরুম সংগ্রহ করতে পারে যা বিক্রি করে মাসে ১ লক্ষ টাকার বেশি আয় করছেন তিনি।

google news

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

সাইফুলের এম এস মাশরুম সেন্টারে অটোক্লেভ মেশিনের ১২১ ডিগ্রি তাপমাত্রায় প্রথমে বাণিজ্যিক স্পনগুলোকে জীবাণুমুক্ত করা হয় পরে স্থাপিত ল্যাবে এক মাস রেখে বিভিন্ন  পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর মাশরুমের স্পনগুলো  ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিশিষ্ট গ্রোথ চেম্বার রুমে এক মাস রাখলে তখন স্পনগুলো চাষ ঘরে নেওয়া হয়। চাষ ঘরে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১০ দিনের মধ্যেই মাশরুম চলে আসে এবং তা তিন চার দিনের মধ্যেই বাজারজাত করার উপযোগী হয়ে ওঠে।

এ বিষয়ে মাশরুম চাষী সাইফুল ইসলাম বলেন পড়াশোনা শেষ করে আমি চাকুরী করি এবং বিভিন্ন ব্যবসা শুরু করেও সফল হতে পারিনি,তাই মাশরুম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠি এবং  ৫ বছর আগে সদর উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে সাভার মাশরুম সেন্টারে ১০ দিনের একটা মাশরুম চাষে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাশরুম চাষ শুরু করে আজ আমি সফল, আজ আমার এই মাশরুম সেন্টারে ছয়জন বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে এছাড়া আমার দেখাদেখি অনেক বেকার যুবক মাশরুম চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে আমি তাদের অনেক পরামর্শও দিয়ে থাকি। এসময় তিনি আরো বলেন কুষ্টিয়ায় মাশরুম চাষ হয় অনেকেই জানেই না তাই যদি মাশরুম চাষের প্রচার টা ভালো হতো তাহলে আমরে আরো বেশি লাভবান হতে পারতাম এবং এখান থেকে অনেক নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হতো।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আব্দুল্লাহ আল মাসুম জানান বিভিন্ন ফসল চাষাবাদের পাশাপাশি মাশরুম চাষেও নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করছি। তারই অংশ হিসেবে সাইফুল ইসলামকে মাশরুম চাষে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। প্রথম অবস্থা সে যখন আমাদের কাছে আসে তখন তাকে আমারা প্রশিক্ষণে পাঠাই প্রশিক্ষণ শেষে তার বাসায় আমরা প্রদর্শন স্থাপন করি এবং প্রদর্শন রক্ষণাবেক্ষণ করতে আমরা সর্বাত্মক তাকে সহযোগিতা করি । অল্প কিছু স্পন দিয়ে মাশরুম চাষ শুরু করলেও এখন তিনি নতুন উদ্যোক্তাদের স্পন সরবরাহ করতে পারে এর ফলে তিনি শুধু নিজেই না নতুন নতুন মাশরুম চাষি উদ্যোক্তা তৈরি করতেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। আমরা সদর উপজেলা কৃষি অফিস যেকোনো কৃষি উদ্যোক্তার পাশে সবসময় আছি।

আরও পড়ুন: