কুষ্টিয়ায় মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষে সফলতা - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

কুষ্টিয়ায় মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষে সফলতা

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: জুলাই ১৯, ২০২৩
কুষ্টিয়ায় মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষে সফলতা

কুষ্টিয়ায় মালচিং পদ্ধতিতে বেড তৈরি করে শসা চাষে বাম্পার ফলন পেয়েছেন কৃষক এসএম আর কিরণ। স্বল্পমেয়াদে বেশি ফলন পাওয়া যায় এমন উন্নত জাতের শসা চাষ করেছেন তিনি। মাত্র ২ মাস শসা বিক্রি করে তিনি ৭৫ হাজার টাকা আয় করেছেন। শসার আশানুরূপ ফলনে কিরণের চোখে-মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।

কুষ্টিয়ায় মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষে সফলতা

কুষ্টিয়ায় মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষে সফলতা

কুষ্টিয়ায় মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষে সফলতা

জানা যায়, কৃষক কিরণ কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কেউপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উন্নত জাতের শসা চাষ করে সফল হয়েছেন। মাঁচা তৈরি করে শসা চাষ করছেন তিনি। তার উৎপাদিত শসা স্থানীয় বাজার হয়ে আশেপাশের বিভিন্ন উপজেলা ও জেলা শহরে সরবরাহ হচ্ছে। শসা চাষে তার সফলতা দেখে অনেক কৃষক শসা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

google news

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

কিরণ বলেন, ২০ শতক জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে বেড তৈরি করে শসার বীজ রোপণ করেছিলাম। চারা একটু বড় হওয়ার পর মাঁচায় উঠিয়ে দেই। তারপর ধীরে ধীরে বেড়ে উঠে শসাগাছ। জমি তৈরি, বীজ সংগ্রহ ও সার মিলিয়ে খরচ হয়েছে ১১ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত ৭৫ হাজার টাকার শসা বিক্রি করেছি। আরও এক মাস ক্ষেত থেকে শসা তুলতে পারবো। তাতে করে আরও ৭৫ হাজার টাকার শসা বিক্রি করেতে পারবো বলে আশা করছি।

তিনি আরও বলেন, দিশা সংস্থা আমাকে মালচিং পেপারসহ কৃষি সহায়তা প্রদান করেছে। এরআগে আমি এই জমিতে অসময়ের তরমুজ আবাদ করেছি। সেই জমিতেই এই শসার আবাদ করছি। আগামীতে আরও বেশি করে এই শসার আবাদ করবেন বলে জানান।

ব্যবসায়ী গাফফার হোসেন জানান, জমি থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে শসা এনে বাজারে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করে থাকি। তবে কিরণের মতো আশ-পাশের যুব কৃষকেরাও শসা চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন বলে জানান তিনি।

দিশা সংস্থার কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, মালচিং পদ্ধতিতে বেড তৈরি এবং রাসায়নিক ও জৈব সার একসঙ্গে প্রয়োগ করে আবাদকৃত জমি পলিথিনের মালচিং সেড দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এতে অতি বৃষ্টিতেও মাটির গুণাগুণ নষ্ট হয় না। তাছাড়া এ পদ্ধতিতে কৃষকের উৎপাদন খরচও অনেক কম। অন্যদিকে সাবিরা জাতের শসা রোপণের ৩৫ দিনের মধ্যে ফুল আসে এবং ৬৫-৭৫ দিন পর্যন্ত ভালো ফলন পাওয়া যায়।

মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাল্লহ আল মামুন বলেন, কৃষক কিরণ চলতি বছরের শুরুতে তরমুজ আবাদ করেছিলেন। এবার শসা চাষ করে সফল হয়েছেন। আমরা তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসছি।

আরও পড়ুন: