কুষ্টিয়ায় শিক্ষককে মারধর ও লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
কুষ্টিয়া সুগার মিলস স্কুলের সহকারী শিক্ষক কবিরুল ইসলামকে মারধর ও লাঞ্চিতের ঘটনার প্রতিবাদ ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

কুষ্টিয়ায় শিক্ষককে মারধর ও লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া সুগার মিলস মিনাপাড়া স্কুল এন্ড কলেজের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
ভুক্তভোগী কবিরুল ইসলাম ওই স্কুলের শরীরচর্চা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি বলেন, আমাদের স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আলী মাহাবুব দীর্ঘদিন ধরে মাঝেমধ্যেই ড্রেস কোড মানেনা। তাকে একাধিকবার বলার পরেও স্কুল পোশাক বা ইউনিফর্ম পরে স্কুলে আসে না। গত মঙ্গলবারও সে তার ইচ্ছেমতো পোশাক পরে স্কুলে আসে। ড্রেস কোড না মানায় তাকে বকাবকি করেছিলাম।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকেলে স্কুলের পার্শ্ববর্তী একটা কোচিং সেন্টারে ওই ছাত্রের বাবা মারকুইস ইসলাম ও তার লোকজন আমাকে এবং আমার শিক্ষার্থীদেরকে লাঞ্চিত ও মারধর করে। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কলেজ শাখার প্রিন্সিপাল মো. মনজুরুল ইসলাম, ভাইস প্রিন্সিপাল শাহিদা খাতুন, স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. জামাল উদ্দিন সহ অন্যান্য শিক্ষকরা। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদের পাশাপাশি তারা দোষীদের শাস্তির দাবি জানায়।
![]()
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, স্কুলের ইউনিফর্ম পরার জন্য ছাত্রকে একজন শিক্ষক বকাবকি করতেই পারে। কিন্তু এজন্য শিক্ষকের উপর অবিভাবক হামলা করবে, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। কুষ্টিয়া সুগার মিলস স্কুলের সহকারী শিক্ষক কবিরুল ইসলামকে মারধর ও লাঞ্চিতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জগতি কবরবাড়ি এলাকার জহুর মালিথার ছেলে মারকুইস ইসলাম ও কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তারা রিসিভ করেন নি।
