দৌলতপুরে বাটুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইউপি সদস্যসহ ২ জন গ্রেফতার
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সেন্টু আলী ওরফে বাটুল (৩৯) হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইউপি সদস্যসহ ২জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।

দৌলতপুরে বাটুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইউপি সদস্যসহ ২ জন গ্রেফতার
শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টায় প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে কুষ্টিয়া র্যাব। র্যাব সূত্র জানায়, র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র্যাব-১২ এর সিপিসি-১ কুষ্টিয়া ক্যাম্প ও র্যাব-৪ এর সিপিসি-১ মিরপুর ক্যাম্পের যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকার মিরপুর পাইকপাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইসমাইল হোসেনের সন্তান সেন্টু আলী ওরফে বাটুল হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ১নং আসামি মো. মিজানুর রহমান (৫৩) ও তার ছোট ভাই ২নং আসামি ইউপি সদস্য মো. হাসিবুর রহমান (৪৭) কে গ্রেফতার করে। এরা দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের বাগোয়ান গ্রামের মৃত রওশন জালালের ছেলে।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা সেন্টু আলী ওরফে বাটুল হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে র্যাব সূত্র জানিয়েছে। পরে তাদের আদালতে প্রেরণসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইউপি নির্বাচন সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ও এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সেন্টু আলী ওরফে বাটুল একই এলাকার হাসিবুর রহমান ওরফে হাসিব মেম্বরের ছোটভাই মুস্তাক হোসেন (৪০) কে মারপিট করে। এরই জের ধরে গত ২১ জুন সন্ধ্যায় বাগোয়ান কামারপাড়া টেনশন মোড় এলাকায় একটি দোকানের পাশে সেন্টু আলী ওরফে বাটুল দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় মুস্তাক হোসেনসহ কয়েকজন পেছন থেকে হামলা করে ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।
![]()
গুরুতর আহত অবস্থায় বাটুলকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে ২৩ জুন প্রতিপক্ষ ইউপি সদস্য মো. হাসিবুর রহমান ও তার বড় ভাই মো. মিজানুর রহমান এবং ছোট ভাই মোস্তাক হোসেনসহ ১২জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানার হত্যা মামলা দায়ের করে যার নং-৭৩। হত্যাকান্ডের পর আসামির গ্রেফতার এড়াতে গা ঢাকা দেয়।
