কুষ্টিয়ার দৌলতপুর নুর ইসলাম নামে এক মানসিক প্রতিবন্ধীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (০১ মে) ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এর আগে গত ২৪ এপ্রিল ভোরে দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান।
নিহত নুর ইসলাম (৩০) সোনাইকুন্ডি গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে। সে মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন।
এ ঘটনায় ২৬ এপ্রিল নিহতের মা বাদী হয়ে দৌলতপুর থানার একটি মামলা দায়ের করেন। ৩০ এপ্রিল রাতে দৌলতপুর থানা পুলিশ মাসুম রানা নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। সে একই গ্রামের আবুল বাসারের ছেলে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ এপ্রিল ভোর ৪টার দিকে নুর ইসলামকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করি। কিন্তু সোমবার ভোর ৪টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুর ইসলামের মৃত্যু হয়।
নুর জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধী। এমন একজন মানসিক প্রতিবন্ধীকে কেন হত্যা করা হলো। কি উদ্দেশ্য হত্যা করা হলো সেটি সঠিকভাবে তদন্ত করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার ও স্বজনরা।

এ বিষয়ে হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী বলেন, নুর ইসলাম মানসিক প্রতিবন্ধী। গত ২৪ মার্চ রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে গুরুতর আহত করে। চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে সে মারা যায়। সিসি ক্যামেরা দেখে পুলিশ মাসুমকে গ্রেপ্তার করেছে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, নিহতের মা বাদী হয়ে একটা মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
