কুমারখালী প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়ক আটকে রেখে পথসভা করেছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও কুষ্টিয়া ৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ সাদী। গতকাল শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি মহাসড়কের কুমারখালীর কাজীপাড়া মোড় এলাকায় পথসভা করেন তিনি। এসময় উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মো. হাফিজুর রহমান, পৌর বিএনপির সভাপতি মনোয়ার হোসেন, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান সবুজসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে পুরো সড়ক আটকে রেখে বিএনপি নেতা শেখ সাদী প্রায় পাঁচ মিনিট ১২ সেকেন্ড এবং হাফিজুর রহমান আড়াই মিনিট বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও শেখ সাদী সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের প্রায় চার মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের একটি সাক্ষাৎকার দেন। এ সময় সড়কের দুই দিকে দীর্ঘ যানযট ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া ৪ ( কুমারখালী-খোকসা) আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয় সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী। কিন্তু রুমীকে টিক্কা দিয়ে তোড়জোড় লবিং করে মনোয়ন পরিবর্তন করে নিজেকে প্রার্থী করার চেষ্টা করছেন শেখ সাদী। এই খবর নিয়ে শনিবার দুপুর একটার দিকে কুষ্টিয়া – রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কস্থ এই আসনের শেষ প্রান্ত খোকসার শিয়ালডাঙ্গী এলাকায় পৌছান শেখ সাদী।
এ সময় দুই উপজেলার হাজার হাজার নেতাকর্মীরা তাকে ফুলেল বরণ করে নেন। পরে সেখান থেকে বিশাল গাড়িবহর ও পথসভা নিয়ে খোকসা উপজেলা শহর প্রদক্ষিণ করে কুমারখালী কাজীপাড়া মোড়ে এসে পথসভা শেষ করেন। সেখানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন শেখ সাদী। সরেজমিন কাজীপাড়া মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, সকড়ের মাঝখানে ছাদখোলা গাড়িতে বক্তব্য রাখছেন শেখ সাদী। গাড়ির চারিদিকে হাজার হাজার নেতাকর্মী। সড়কের দুই দিকে দীর্ঘ যানযট। বক্তব্যে বিএনপি নেতা শেখ সাদী বলছেন, ‘ আজকের এই পথসভা, ৩১ দফা বাস্তবায়নের র্যালীতের আপনাদের ভালবাসায় আমি গর্বিত ও কৃতজ্ঞ। একটি জিনিস মাথায় রাখবেন, আমি যতদিন বাঁচব।
আপনাদের ভালোবাসা নেওয়ার জন্য আমি বার বার আসব। আমি শিক্ষা, ধর্মীয় ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক অবদান রেখেছি।’ তিনি আরো বলছেন, ‘ ধানের শীষের বাইরে আমরা কেউনা। সামনের যে নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাসে। আপনারা সামান্য মন খারাপ করবেন না। যে নমিনেশন দেওয়া হয়েছে এটা একটা সম্ভাব্য। হয়তোবা সম্ভাব্য তালিকায় আমার নামটা আসেনি। আমি বিশ্বাস করি। সামরে ফাইনাল নাম আমারই আসবে।’ এরপর দুপুর ২টা ৪৬ মিনিটের দিকে পথনভা শেষে হলে ধীরে ধীরে নেতাকর্মীরা সড়ক থেকে সরতে থাকেন এবং যান চলাচল শুরু হয়।
এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসের হেল্পার বলেন, ‘সেই বিলজানি থেকে যানযটে পড়েছে। প্রায় দুই ঘণ্টা পরে মুক্ত হলাম। জনগণের খুব ভোগান্তি হয়েছে। এ সব দেখার কেউ নেই বলে আক্ষেপ তাঁর। জনদুর্ভোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা শেখ সাদী বলেন, ‘ আমাকে ভালোবেসে হাজার হাজার মানুষ আজকের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছে। কিছুটা ভোগান্তি সৃষ্টি হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করছি।
