ভেড়ামারায় নদীভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ১২ মাইল টিকটিকি পাড়া এলাকায় পদ্মা নদীর ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই ভয়াবহ ভাঙনে বসতি এলাকার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে নদী। ভাঙন রোধ করে জনবসতি রক্ষায় জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সোমবার সকালে ১ ঘন্টা কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে শতশত গ্রামবাসী। এক ঘন্টা পর স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধে সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

ভেড়ামারায় নদীভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
জানাগেছে, ভাঙন ঠেকাতে কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সংসদ সদস্য ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু গত ৯ জুলাই নদীতে জিও ব্যাগ ফেলে উদ্বোধন করেন। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। তবে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে তীব্র ভাঙন দেখা দেওয়ায় ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের টিকটিকি পাড়ার অংশে পদ্মা নদীর পাড়ে ভয়াবহ ভাঙন চলছে। ইতিমধ্যেই ৫ হাজার একর ফসলি জমি বিলিন হয়ে গেছে।
জানাগেছে, ভাঙন কবলিত পদ্মার ওপারে ঈশ্বরদীর রূপপুরে আনবিক প্রকল্প নির্মাণ হওয়ায় পদ্মা নদীর ভেতরে গভীর থেকে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর পানি সেখানে ধাক্কা খেয়ে নদীর গতিপথ সরে গিয়ে এপারে এসে পানি ধাক্কা দিচ্ছে। এতেই ভাঙনের তীব্রতা দেখা দিয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মকলেছুর রহমান বলেন, ’ফসলের জমিতো নদী ভাঙনে আগেই শেষ। এখন আমাদের শেষ আশ্রয় বাড়ি বিলীনের পথে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকাশ কুমার কুন্ডু বলেন, ভাঙন রোধে কাজ চলমান রয়েছে। আরও প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিষয়ে উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী (বাপাউবো) ইমরান সর্দার বলেন, ’ভাঙন কবলিত এলাকায় কাজ চলছিল। কিন্তু পানি বাড়ার সাথে ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যায়। বর্তমান আমরা জিও ব্যাগ ও বড় টিউব ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছি। ’

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানাগেছে, ’বিভিন্ন সময় ও এই পর্যন্ত তালবাড়িয়া থেকে বারো মাইল পর্যন্ত এলাকা নদী পদ্মার ভাঙনের মুখে রয়েছে। এখানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য ২০১৬ সালে ৬০০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়। বর্তমানে ১৮০০ কোটি টাকার প্রকল্পে এসে দাঁড়ায়। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) নির্বাহী কমিটিতে প্রকল্পটি জমা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাজাহান সিরাজ বলেন, ’ভাঙন কবলিত এলাকায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। তবে আমরা জিও ব্যাগ ও বড় টিউব ফেলার কাজ শুরু করেছি। মঙ্গলবার আমি ভাঙন কবলিত এলাকায় যাবো। পরিদর্শন শেষে প্রয়োজন হলে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
