কুমারখালী প্রতিনিধি ॥ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সোমবার সারাদেশে ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। ঘোষণা অনুযায়ী কুষ্টিয়া ৪ (কুমারখালী ও খোকসা) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক এমপি ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী। তবে প্রার্থী হিসেবে মেহেদীকে মেনে নিতে পারছে না প্রতিপক্ষ নুরুল ইসলাম ইসলাম আনছার প্রামাণিক ও তাঁর সমর্থকরা।
তাঁরা মেহেদী রুমীর মনোয়নয়ন বাতিল করে উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল ইসলাম আনছার প্রামাণিককে মনোনয়নের দাবিতে মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার ( ৪ নভেম্বর) রাত ৬ টা ৪৪ মিনিটের দিকে কুষ্টিয়া – রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালী বাসস্টান্ড সংলগ্ন গোলচত্বর এলাকায় প্রায় ১৬ মিনিট ধরে অবরোধ কর্মসূচি পালন করে।
এরআগে রাত সাড়ে ৬টার দিকে কুমারখালী হলবাজার এলাকা থেকে কয়েক’শ নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি গণমোড়, থানামোড়, স্টেশনবাজার, গোলচত্বর প্রদক্ষিণ করে পুনরায় হলবাজার বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি কে এম আলম টমে, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক জাকারিয়া আনছার মিলন।
বক্তারা বলেছেন, ‘নুরুল ইসলাম আনছার প্রামাণিক দীর্ঘ ১৭ বছরে মাঠে আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন। দলের মাঠ জরিপেও শার্ষে ছিলেন। তবুও আনছারকে বাদ দিয়ে ঢাকার বাসিন্দা মেহেদী রুমীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। মেহেদীকে অতীতেও ছয়বার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। যদি একই ব্যক্তিকে ৬বার মনোয়নয়ন দেওয়া হয়, তাহলে কি দলে আর কারো অবদান নেই? সুতরাং মেহেদীর মনোনয়ন বাতিল করে নুরুল ইসলামকে মনোনয়ন দিতে হবে। মনোনয়ন বদল না হলে কুষ্টিয়া ৪ আসন তারেক জিয়াকে উপহার দেওয়া সম্ভব হবেনা।
