ভেড়ামারার পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তার সন্ধানে পথে পথে ঘুরছে মা ও দুই শিশু - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

ভেড়ামারার পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তার সন্ধানে পথে পথে ঘুরছে মা ও দুই শিশু

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: জানুয়ারি ১৩, ২০২৪

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা শহরের দক্ষিণ রেলগেট পূর্ব বামন পাড়া এলাকার ইয়াছিন আলীর পুত্র ও কুমারখালি পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা রাজীব আহমেদের খোঁজে ২১ দিন ধরে পথে পথে ঘুরছেন নিখোঁজ রাজীবের স্ত্রী রায়হানা পারভীন সহ তাদের শিশু দুই সন্তান মেয়ে রাইসা ও ছেলে রায়হান।

ভেড়ামারার পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তার সন্ধানে পথে পথে ঘুরছে মা ও দুই শিশু

নিখোঁজ রাজীব কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পূবালী ব্যাংক শাখার সিনিয়র কর্মকর্তা। তার গ্রামের বাড়ি জেলার ভেড়ামারা উপজেলার দক্ষিণ রেলগেট এলাকায়। তিনি মৃত, ইয়াসিন আলীর ছেলে। পাঁচ ভাই, তিন বোনের মধ্যে রাজীব সবার ছোট। পূবালী ব্যাংকে চাকরির সুবাদে তিনি একাই কুমারখালীতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গেল মাসের ২২ডিসেম্বর তারিখে কুমারখালীর ভাড়া বাসা থেকে নিখোঁজ হন রাজীব। এরপর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ওইদিন রাতেই থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ ডাইরি (জিডি) করা হয়। নিখোঁজ রাজীবের ভাই রাহাতুল ইসলাম ঝন্টু বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে আত্মীয়-স্বজন ও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে এখনো সন্ধান মেলেনি তার। রাজীবের সন্ধানে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত কোনো কুল-কিনারা করতে পারেননি। এখন পর্যন্ত কি ঘটেছে রাজীবের ভাগ্যে এই নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। সবার চোখে অজানা ভয়-হতাশাও রয়েছে। কোনো উপায় না পেয়ে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি। এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ব্যাংকের রাজীবের সহকর্মী, ভাই, বোন ও স্বজনরা। রাজীব আহমেদের স্ত্রী রায়হানা পারভীন বলেন, আমার জানামতে এমন কারো সঙ্গে রাজীবের শত্রুতা ছিল না। নিখোঁজের পর থেকে রাজীবের সাথে কোন যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। নিখোঁজের দিনই বিভিন্ন স্থানে খুঁজে না পাওয়ায় এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়ায় ওইদিনই কুমারখালি থানায় গিয়ে একটি জিডি করি। আমার দুই সন্তানকে নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি, কোনো সন্ধান পাচ্ছি না। হাসপাতাল থেকে শুরু করে প্রতিটি জায়গায় খুঁজে দেখলেও কোথাও খোঁজ মিলছে না। কি করবো তাও বুঝে উঠতে পারছি না। ছেলে-মেয়েরা ওর বাবার খোঁজ চাইলে কোন উত্তর দিতে পারছি না। স্বামীর সন্ধান পেতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্বারকলিপি দিয়েছি। আমার স্বামী রাজীবকে ফিরিয়ে দিন। রাজীবের উদ্ধারের ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের অবহেলা আছে বলেও দাবি করেন তিনি। শিশু দুই সন্তান রাইসা ও রায়হানের কাছে তাদের বাবার কথা জানতে চাইলে তারা কেঁদে ওঠে। কান্না ভরাকন্ঠে বলেন, কিছুই চায় না। পুলিশ-প্রশাসন যেন আমার বাবাকে খুঁজে দেয়। অনেক দিন হলো আমার বাবার সঙ্গে কথা হয়নি আমাদের। কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম বলেন, রাজীবের পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ ডাইরি জিডি করা হয়েছে। তাকে উদ্ধারের সব চেষ্টা চালাচ্ছি।