ভেড়ামারায় সজনের ভারে ন্যুয়ে পড়েছে গাছ - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

ভেড়ামারায় সজনের ভারে ন্যুয়ে পড়েছে গাছ

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: মার্চ ২৫, ২০২৪

ভেড়ামারা প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় গাছে গাছে এখন শোভা পাচ্ছে সজনে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সজনের ভালো ফলনের আশা করছেন চাষি ও সংশ্লিষ্ট কৃষি অধিদফতর। উপজেলায় প্রচুর সজনের গাছ রয়েছে। সজনে বহুগুণে গুণান্বিত একটি যাদুকরী সবজি। ঔষধি গুণে ভরপুর সজনে যেমন সুস্বাদু তেমনি এটি উৎপাদনে নেই কোনো খরচ। পুষ্টিসমৃদ্ধ মৌসুমী সবজির মধ্যে সজনে অন্যতম যা দেশের সর্বত্রই পাওয়া যায়। ড্রামস্টিক, মরিঙ্গাসহ দেশে-বিদেশে বহু নামে পরিচিত হলেও বাংলাদেশে সজনে নামেই পরিচিত। পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে সজনেতে আ্যানিমিয়া, জয়েন্ট পেইন, ক্যান্সার, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, ডায়রিয়া, হার্ডপেইন, ব্লাডপেসার, কিডনিতে পাথর ধ্বংস, মায়ের দুধ বৃদ্ধিকরাসহ বিভিন্ন ঔষুধি গুণাগুণ রয়েছে। সজনে গাছকে প্রচলিত বিভিন্ন খাদ্য প্রজাতির মধ্যে সর্বোচ্চ পুষ্টিমান সম্পন্ন উদ্ভিদ হিসেবে চিহিৃত করা হয়েছে। বহুবিধ খাদ্যগুণ সম্পন্ন হওয়ার দক্ষিণ আফ্রিকায় সজনা গাছকে যাদুক গাছ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এক বেসরকারি সংস্থা নবলোকের প্রকাশিত ‘নিউট্রিশন ফ্যাকটর অফ মরিঙ্গা লিপ’এ উল্লেখ করা হয়েছে সজনের পাশাপাশি সজনে পাতা পুষ্টি ঘাটতি পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এতে দুধের চেয়েও বেশি ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, জিংক বিদ্যমান। শরীরে কোলস্টরলের মাত্রা ঠিক রাখে, হজমের সাহায্য করে, শরীরে পুষ্টি ও শক্তি যোগায়, বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এসব নানাবিধ গুণের কারণে প্রতিবছর দেশের প্রায় সবস্থানে প্রচুর পরিমাণে সজনের চারা ও ডাল রোপণ করা হয়। একক কোনো চাষাবাদ কোথাও না হলেও প্রতিটি অঞ্চলে অন্যান্য ফসল আবাদের অনুপযোগী যেমন ক্ষেতের আইল, ঘরের বাঁধ এবং রাস্তার দু-পাশ দিয়ে মৌসুমী সজনের আবাদ রয়েছে। সজনে চাষে সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করতে সব রকম পরামর্শ দিয়ে আসছে উপজেলা কৃষি অধিদফতর। পুষ্টিগুণের দিক থেকে সজনে অত্যন্ত উপকারী একটি সবজি। অন্যান্য সবজির ক্ষেত্রে পরিচর্যার প্রয়োজন হলেও অনেকটা পরিচর্যা ও প্রয়োজন ছাড়াই সজনের উৎপাদন সম্ভব। সজনে অল্প দিনেই খাওয়ার উপযোগী হয় এবং বাজারজাত করা যায়। খেতে সুস্বাদু ও বাজারে প্রচুর চাহিদা থাকায় সবজির আবাদ অত্যন্ত লাভজনক।