কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার গঙ্গা- কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প (জিকে) ক্যানেলে জিকে ৩ নং ব্রিজের সন্নিকটে মিরপুরগামী রাস্তায় পাশে সরকারি ক্যানেলের মধ্যস্থলের মাটি কেটে উত্তোলন করে পাশেই সরকারি জায়গা -জমি ভরাট করে নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের মহোৎসব চলছে। জনৈক অসাধু ব্যবসায়ী ফারুক সহ আশেপাশের আরো অনেক লোভী ব্যক্তিরা পানি উন্নয়নের বোর্ডের কর্মকর্তাদের উদাসীনতার সুযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।

ব্যক্তিগতভাবে সরকারি সম্পদ বিপুল পরিমাণ মাটি কুক্ষিগত করে সরকারি জায়গা ভরাট করে কোটি কোটি টাকা মূল্যমানের ভূসম্পত্তি আত্মসাতে উঠে পড়ে নেমেছে এই অসাধু মহলটি। রাজনৈতিক পরিচয়ের সূত্র ধরে এবং নিজেদেরকে বিভিন্ন বড় বড় রাজনৈতিক নেতাদের নিকটাত্মীয় বলে পরিচয় দিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে সবার চোখের সামনে সরকারি কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বেআইনিভাবে কাজটি করে যাচ্ছে তারা। সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকালে শ্রমিক নিয়োগ করে উক্ত স্থানে মাটি কাটাতে ও ভরাট করতে। মাটি কাটতে ব্যস্ত নিয়োগকৃত দিন মজুরেরা প্রতিবেদককে জানান, স্থানীয় ব্যবসায়ী ফারুক তাদেরকে মাটি কেটে ভরাট করার কাজে নিয়োগ দিয়েছে এবং নিয়মিত হাজিরা প্রদান করছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ফারুকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মাটি কাটা ও ভরাটের দায় স্বীকার করে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন এসে দেখে গেছে তারা কিছু বলেনি। কাজটা বে-আইনি হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে, হ্যাঁ বে-আইনি হচ্ছে। আমরা সবাইকে ম্যানেজ করে কাজ করছি। এ ব্যাপারে গঙ্গা- কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের পাম্প হাউজের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে তার দায়িত্ব এড়িয়ে যান এবং বলেন, এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে আপনারা যোগাযোগ করুন। এই বিষয়ে জানতে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এই বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা বলেন, বেআইনীভাবে মাটি কর্তন করে সরকারি জায়গা দখল করে ভরাট করার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সেই সাথে গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের ক্যানালের মাটিকাটা ও ক্যানেলের উপরিভাগের জায়গা জমি অপদখলের বিষয়গুলো খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।
