ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে ভুক্তভোগী শাম্মি আক্তার - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে ভুক্তভোগী শাম্মি আক্তার

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ ১২ আগস্ট পেটে প্রচন্ড ব্যাথা নিয়ে কুষ্টিয়ার কাস্টমমোড়ে রোজ প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হয়।  পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তার অ্যাপেন্ডিসাইটিস ধরা পরে। তরিঘরি করে ঐ দিনই তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যত্রতত্রভাবে অপারেশন করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক সার্জারীর ডাঃ মোহাম্মদ আলী। অপারেশনের পর শারিরিক যন্ত্রনা আর বিভৎস সেলাই নিয়ে যন্ত্রনায় কাতরতে থাকেন ১৬ আগস্ট পর্যন্ত।

এর ভেতরে সেলাইয়ের জায়গায় পচন ধরে মৃত্যু যন্ত্রনা ভোগকারী শাম্মি আক্তার ছাড়পত্র নিয়ে জীবন বাঁচাতে অন্যত্র চিকিৎসা নিতে  চলে যায়। ঘটনাটি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বাড়াদির শাম্মি আক্তারের সাথে ঘটেছে। চিকিৎসকের অবহেলার বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি। ভুক্তভোগী শাম্মী আক্তার জানান, আমাকে নোংরা পরিবেশ অটিতে ঢুকিয়েছিল যেখানে চারদিকে রক্ত আর রক্ত ছিল। আমাকে অজ্ঞান করার জন্য ইনজেকশন পুশ করে বলে আমাকে জানায়।

কিন্তু আমার গায়ে ব্যাথা লাগছিল । আমি বলছিলাম আমার পা নড়ছে আপনারা আমাকে অজ্ঞান করে ইঞ্জেকশন দেননি। তখন ডাক্তার মোহাম্মদ আলী আমার পেটে একটা কি জানি দিয়ে চিমটি দেয়। আর বলেন লাগছে কিনা। আমি বলেছিলাম আমার লাগছে অবাস হইনি আমার শরীর। তবুও জোর করে আমার শরীরে বেলেট চালায়। মনে হচ্ছিল আমার কলিজা ট্রেনে বের করে নিয়ে আসছে ডাক্তার।

অ্যাপেন্ডিসাইটির জন্য আমার শরীর ছুরি চালায় সেখানে প্রয়োজনের থেকে বেশি কেটে ফেলাই রক্তপাত শুরু হতে থাকে এবং ডাক্তার মোহাম্মদ আলী অনেক তাড়াহুড়া করছিল। আমার শরীরে যেমন সেলাই করেছে এটা কোন মৃতদেহর সেলাইও এমন করে করে না। চার দিন অতিবাহিত হল আমার কোন ড্রেসিং করেননি। এই ক্লিনিকের লোকজন করবে কি করে কোন নার্সও  এখানে থাকেনা। ৪-৫ দিন পরে আমার সিলাই ভেতর থেকে পচা গন্ধ বের হতে শুরু করে। আগস্টের ১৯ তারিখে ভর্তি হয়েছিলাম তবুও আমি সুস্থ হতে পারিনি। পরে আমার পরিবার নুরুন্নাহার ক্লিনিকে নিয়ে আসে আমাকে আমার পূর্বে অনেক টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে এখন কিভাবে এখানে চিকিৎসা গ্রহণ করব অর্থে থাকার কারণে সেটাই ভাবছি।

আমার দাবি এসব ডাক্তার নামের কসাইরা দেশের শত্রু মানুষের শত্রু জনগণের শত্রু। আমার মত আর কোন মেয়ের যেন এমন তাড়াহুড়া করে ভুল চিকিৎসা না করতে পারে এজন্য প্রশাসনের কাছে আমার দাবি জানাই এদের মতো ডাক্তারকে আইনের মাধ্যমে কঠিন শাস্তি দেয়া হোক। এ বিষয়ে ডাক্তার মোহাম্মদ আলীকে মুঠোফোনে কল করলে তিনি জানান, শাম্মি আক্তারের অপারেশন আমি করেছি। সেলাইও আমি করেছি।