কুষ্টিয়ায় ভুট্টা চাষে কম খরচে লাভ বেশী হওয়ায় খুশি কৃষক
কুষ্টিয়ায় এবছরও ভুট্টা চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। ফলনও ভাল হয়েছে। অর্থকরী ফসল হওয়ায় ভুট্টা চাষ করে আর্থিক চাহিদা মিটিয়ে থাকেন কৃষকরা। এবছর ভুট্টার দাম ভাল পাওয়ায় আগামী মৌসুমে ভুট্টা চাষ আরো চাষ বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ।

কুষ্টিয়ায় ভুট্টা চাষে কম খরচে লাভ বেশী হওয়ায় খুশি কৃষক
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে কুষ্টিয়ায় চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১১ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। যা গত মৌসুমে চাষ হয়েছিল ৯ হাজার ৮১৬ হেক্টর জমিতে। এরমেধ্যে জেলার দৌলতপুর চাষ হয়েছে ৫ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে।
আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ভুট্টার ফলনও ভাল হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষে কৃষকদের খরচ হয়েছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। আর ফলন হয়েছে প্রতিবিঘা জমিতে ৪৫ থেকে ৫০ মন পর্যন্ত। কোন ক্ষেত্রে আরো বেশী। মাঠ থেকে প্রতিমন ভুট্টা ১হাজার টাকা দরে বিক্রয় করে কৃষকের উৎপাদন খরচে দ্বিগুন লাভ হয়েছে। যা অধিক পরিশ্রমী ক্ষতিকর তামাক চাষ থেকে বেশী। লাভে খুশি হওয়ায় কৃষকরা আগামীতে ভুট্টা চাষ আরো বৃদ্ধি ঘটাবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
দৌলতপুর উপজেলার কাঞ্চননগর গ্রামের কৃষক রানা হোসেন জানান, এবছর ৩বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করে বিঘা প্রতি ৫০মনেরও বেশী ফলন হয়েছে। লাভও হয়েছে উৎপাদন খরচের দ্বিগুনেরও বেশী। ভুট্টা চাষে কম পরিশ্রম ও অধিক লাভজনক হওয়ায় আগামীতে আরো বেশী জমিতে ভুট্টার চাষ করবেন বলে জানান তিনি।
আবার ব্যবসায়ীরা কৃষকের কাছ থেকে ভুট্টা ক্রয় করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে তারাও লাভবান হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মহসিন আলী নামে এক আড়ৎদার।

কম খরচ ও পরিশ্রমে অধিক লাভ হওয়ায় প্রতিবছরই ভুট্টা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক্ষেত্রে কৃষকদের প্রণোদনা প্রদান ও প্রযুক্তি নির্ভর করতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি সব ধরণের সহায়তা দিয়ে থাকেন কৃষি বিভাগ বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নুরুল ইসলাম। কৃষি নির্ভর বাংলাদেশে কৃষকদের সার্বিক সহায়তা দিলে কৃষিক্ষেত্র আরো সমৃদ্ধ হবে এমনটাই জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
