কেএসএম স্কুল এন্ড কলেজে বেত্রাঘাতে তিন ছাত্রী গুরুতর আহত - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

কেএসএম স্কুল এন্ড কলেজে বেত্রাঘাতে তিন ছাত্রী গুরুতর আহত

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩
কেএসএম স্কুল এন্ড কলেজে বেত্রাঘাতে তিন ছাত্রী গুরুতর আহত

কেএসএম স্কুল এন্ড কলেজের তিন ছাত্রী শিক্ষকের বেত্রাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একজনের আঙুল কেটে রক্তাক্ত হয়েছে এবং একজন অচেতন হয়েছে। ডাক্তারী রিপোর্টে মীম নামে দশম শ্রেণি পড়ুয়া ঐ শিক্ষার্থীর আঙুলে ফাটল ধরেছে বলে অভিভাবক সূত্রে খবর পাওয়া গেছে।

 

কেএসএম স্কুল এন্ড কলেজে বেত্রাঘাতে তিন ছাত্রী গুরুতর আহত

কেএসএম স্কুল এন্ড কলেজে বেত্রাঘাতে তিন ছাত্রী গুরুতর আহত

 

কেএসএম স্কুল এন্ড কলেজে বেত্রাঘাতে তিন ছাত্রী গুরুতর আহত

 

এ নিয়ে গোটা স্কুলসহ অভিভাবক মহলে তোলপাড় হলেও বিষয়টি বিচলিত হবার মত কোন ঘটনা নয় বলে জানান প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল ইসলাম ডাবলু। বিশেষ পরিস্থিতিতে বেতের ব্যবহার হয়েছে বলে তিনি জানান। রোববার দুপুরে জেলার ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির তিন শিক্ষার্থীর উপর এই অমানবিক নির্যাতন চালান স্কুলের শিক্ষক মামুন।

ঘটনার পর অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এনিয়ে ঐ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের কাছে কারন জানতে চাওয়া হলে তিনি দুর্ব্যবহার করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রাক্তন শিক্ষার্থী জানান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেতের ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও জেলার ঐতিহ্যবাহী এই স্কুলে বেতের ব্যবহার চলমান রয়েছে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলেও অধ্যক্ষ কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি। বরং অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন।

 

 

তিনি আরো জানান, এমনিতেই পড়ালেখার বেহাল দশা, তারউপর শিক্ষকদের এই অমানবিক আচরণ বিদ্যালয়ের পরিবেশকে ক্রমশ অবনতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। একারনে কমতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা।

 

এক অভিভাবক জানান, অধ্যক্ষ ডাবলু সরাসরি জেলা বিএনপির রাজনীতি করেন। সেকারনে তিনি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে পর্যাপ্ত সময় দেন না। তিনি ইচ্ছেমত আসেন আর যান। তাকে কারো কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। তিনি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান ক্রমাবনতির দিকে যাচ্ছে। এবিষয়ে যেন দেখার কেউ নেই।

 

google news

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

এবিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল ইসলাম ডাবলু বলেন বেত্রাঘাতের ঘটনা ঘটেছে ঠিকই, তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে তা হয়েছে। এবিষয়ে নিউজ না করার জন্য বা বাড়াবাড়ি না করার জন্য তিনি বলেন।

এদিকে অনাকাঙ্খিত এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছে স্থানীয় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল ইসলাম ডাবলুর বিচার চেয়েছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ।

আরও দেখুনঃ