কুমারখালীতে বৃষ্টির জন্য খোলামাঠে ‘ইস্তিসকার’ নামাজ আদায় - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

কুমারখালীতে বৃষ্টির জন্য খোলামাঠে ‘ইস্তিসকার’ নামাজ আদায়

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: এপ্রিল ২০, ২০২৩

কুমারখালীতে বৃষ্টির জন্য খোলামাঠে ‘ইস্তিসকার’ নামাজ আদায়। বেশকিছু দিন ধরে বৃষ্টিপাতের দেখা নেই। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় টানা সপ্তাহখানেক ধরে তীব্র গরম ও তাপদাহ। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মাঠজুড়ে পুড়ছে ফসল। গরমের সাথে পাল্লা দিয়েছে বেড়েছে লোডশেডিং। ২৪ ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ বার বিদ্যুত যাওয়া আসা করে।

কুমারখালীতে বৃষ্টির জন্য খোলামাঠে ‘ইস্তিসকার’ নামাজ আদায়

কুমারখালীতে বৃষ্টির জন্য খোলামাঠে 'ইস্তিসকার' নামাজ আদায়

কুমারখালীতে বৃষ্টির জন্য খোলামাঠে ‘ইস্তিসকার’ নামাজ আদায়

সেজন্য তীব্র তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে এবং বৃষ্টির প্রত্যাশা করে নামাজ ‘ ইস্তিসকার ‘ আদায় শেষে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের নিয়ামতবাড়ি উত্তরপাড়া দোপের মাঠে খোলা আকাশের নিচে এ নামাজ আদায় করা হয়। নিয়ামতবাড়ি উত্তরপাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির আয়োজনে নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

google news

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

আয়োজকরা জানান, কালবৈশাখীর মৌসুমেও বৃষ্টির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। উল্টো টানা তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে। মাঠে রোদে পুড়ে কৃষকের ফসল নষ্ট হচ্ছে। আম-লিচুর গুটি ঝড়ে পড়ছে। শ্রমজীবী মানুষ রোদে বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে তাঁরা বৃষ্টির জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনার আয়োজন করেছেন। নামাজে সবাইকে অংশ নেওয়ার জন্য আগে থেকেই ফেসবুকে ও মসজিদের মাইকে প্রচার করা হয়েছিল।

সকাল ৯ টা ২০ মিনিটের দিকে নিয়ামতবাড়ি মাঠে গিয়ে দেখা যায়, পাঞ্জাবি, শার্ট, টি শার্ট, লুঙ্গি, গামছা, টুপি পরে জায়নামাজ নিয়ে বিভিন্ন বয়সের মানুষ মাঠে হাজির হয়েছেন। কিছুক্ষণ পরেই নামাজ আদায় ও দোয়া পরিচালনার জন্য হাজির হন নিয়ামতবাড়ি উত্তরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম রমজান আলী। তিনি প্রথমে মুসল্লিদের উদ্দেশে নামাজের নিয়মকানুন বলেন। এরপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করলেন সবাই। নামাজ শেষে দুই হাত তুলে সবাই প্রচন্ড গরম, তীব্র তাবদাহ ও খরা থেকে রক্ষা পেতে এবং বৃষ্টির জন্য মোনাজাত করেন তারা।

এসময় কলেজ ছাত্র মাহমুদ হাসান শাওন বলেন, অনেক দিন বৃষ্টি হয়না। রোদের তীব্র তাপে প্রচুর গরম। তারপরে আবার ঘনঘন লোডশেডিং। সবমিলের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তাই মহান আল্লাহ’র নিকট বৃষ্টির জন্য নামাজ শেষে প্রার্থনা করা হয়েছে।

কৃষক রহমত উল্লাহ বলেন, বৃষ্টিবাদল নেই। খুব তাপ। কলে ( টিউবওয়েলে) ও বোরিংয়ে পানি উঠছেনা। মাঠের খেতখোলা নষ্ট হচ্ছে। তাই বৃষ্টির চেয়ে নামাজের মধ্যে আল্লাহকে রাজি খুশি করানোর জন্য কান্নাকাটি করেছেন তিনি।

নিয়ামতবাড়ি উত্তরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মো. রমজান আলী বলেন, মানুষের সৃষ্ট পাপের কারনেই এমন অনাবৃষ্টি ও খরা হচ্ছে। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (স:) ইস্তিসকা নামাজ পড়তেন। সেজন্য তাঁরা মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট ক্ষমা চেয়ে দুরাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন।

আরও পড়ুন: