হানিফ এমপি'র উদ্বোধন করা রাস্তার কাজ বন্ধ করলেন বিএনপি নেতা বাবলু
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের কবুরহাট বাজার সংলগ্ন চলমান রাস্তার কাজ বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক বিএনপি নেতা আব্দুল মজিদ বাবলুর বিরুদ্ধে। জিকে ক্যানেলের সরকারি জমি মালিকানাধীন জমি দাবি করে সরকারি এই কাজ বন্ধ করেন বাবলু।

হানিফ এমপি’র উদ্বোধন করা রাস্তার কাজ বন্ধ করলেন বিএনপি নেতা বাবলু
মফিজের বাড়ি থেকে কবুরহাট হাই স্কুল ভায়া মন্ডলপাড়া কবুরহাট বাজার সড়কটি “জিকেআর আইডিপি” প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে রয়েছে এলজিইডি কুষ্টিয়া সদর। ২৫০৭৯৫৩৫৬ নং রোড আইডি’র চে: ৫০০-১০০০মি: রাস্তার কাজটি চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি।
এদিকে রাস্তার কাজ সম্পন্ন করে জনগণের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় এলাকাবাসীরা।
মানববন্ধনে এলাকাবাসীরা বলেন, কুষ্টিয়া সদর আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ভাই এলাকাবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে পাকা রাস্তাটি নির্মাণের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বার বার এখানে এসে সকল ধাপ অনুসরন করে নির্মাণ কাজ শুরু করেন। নির্মাণ কাজের শেষ দিকে এসে রাস্তার একটি অংশ নিজ মালিকানাধীন জমি দাবি করে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন বিএনপির সাবেক এক প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক বটতৈল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাবলু।
মাননীয় এমপি মহোদয়ের উদ্বোধন করা রাস্তার কাজ বন্ধ করে বাবলু চেয়ারম্যান নোংরা রাজনীতির পরিচয় দিয়েছেন। একজন জনপ্রতিনিধি এরকম জনদুর্ভোগ তৈরি করতে পারে এটা না ঘটলে বিশ্বাস হতো না। মানববন্ধন থেকে এলাকাবাসীরা রাস্তাটির কাজ সমাপ্ত করে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে মাননীয় সংসদ সদস্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
![]()
এই বিষয়ে বটতৈল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান (মিন্টু ফকির) বলেন, রাস্তাটি আসলে জিকের জায়গায় হচ্ছে। জিকের অধিগ্রহণ করার কাগজ পাতি আছে। দুর্ভাগ্যবশত জিকের নামে জমিটা রেকর্ড হয়নি। ২০০৩ সালে এই রাস্তার জমির পাশে জমি কেনেন বাবলু চেয়ারম্যান। তারপর থেকে জিকের জমি নিজের বলে দাবি করেন তিনি। আমরা সার্ভেয়ার এনে মেপে দেখেছি যে, তিনি উল্টো জিকের জমির ভিতরে প্রবেশ করেছেন।
কিন্তু সেটা তিনি মানতে নারাজ। রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। এমতাবস্থায় তিনি আদালতে গিয়ে আমাকে ও এলজিইডি’র ইঞ্জিনিয়ার সাহেবকে বিবাদী করে একটি মামলা করেছেন। সেই সাথে এই জমির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আমরা কাজ বন্ধ রেখেছি। রবিবার এই বিষয়ে আদালতে শুনানি হয়েছে এবং সোমবার আদালত রায় দেবেন। আশা করছি আগামী মঙ্গলবার থেকে পুনরায় আমরা রাস্তার কাজ শুরু করতে পারবো।
