খোকসায় মহাসড়ক দখল করে বালু ব্যবসা: প্রশাসন নিরব!
কুষ্টিয়া- ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে চলছে রমরমা বালু ব্যবসা। ফলে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারছে না পথচারী ও স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।

খোকসায় মহাসড়ক দখল করে বালু ব্যবসা: প্রশাসন নিরব!
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুষ্টিয়ার খোকসা বাসষ্ট্যান্ডের পূর্ব পাশে মহাসড়কের ফুটপাত দখল করে বালি ও পাথর ফেলে ব্যবসা করছেন, পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চরপাড়া গ্রামের আঃ রাজ্জাক ( ৫০)। খোকসা বাসষ্ট্যান্ড থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে (পূর্ব পাশে) মহাসড়কের দক্ষিণে সংযুক্ত বাইপাস রাস্তা। এই রাস্তার মাত্র ২০/২৫ মিটার দূরে রয়েছে একটি শিশু শিক্ষা নিকেতন তার পাশেই রয়েছে খোকসা জানিপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খোকসা জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী ও অভিভাকেরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক পার হচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, প্রতিদিন স্কুল থেকে বাচ্চাকে নিয়ে ফেরার সময়, মহাসড়ক পার হতে গেলে রাস্তার মুখের দুই পাশে বালি ও পাথরের স্তুুপ থাকায় মহাসড়কে চলাচল করা গাড়ী দেখা যায় না আবার একটু বাতাসেই বালি উড়ে চোখে মুখে লাগে যার ফলে অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই মহাসড়কে উঠতে হয়। স্কুলের শিক্ষক ও স্থানীয়দেরও একই অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দা,সুরুজ হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে একজন দুধ বিক্রতা বাইসাকেল নিয়ে মহাসড়কে উঠে পরলে একটি প্রাইভেট কারের সামনে পরে কিন্ত চালকের দক্ষতায় বড় রকমের দুর্ঘটনা হাত থেকে রক্ষা পান ওই দুধ বিক্রেতা। অতি শিগগিরই এই বালুর স্তুপ না সরালে যেকোন সময় দূর্ঘটনায় প্রানহানীর আশংকা রয়েছে।
মহাসড়কের ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করা আ: রাজ্জাকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি আওয়ামীলীগের এক প্রভাবশালী নেতার বরাত দিয়ে তার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।

সেই সাথে তিনি দাবী করেন, মহাসড়কের পাশে আরও অনেকেই জায়গা দখল করে দোকান ঘড় তুলেছেন আগে তাদের নিউজ করেন। আর আমার এই বালি সরানোর জন্য, মেয়র, ইউএনও আরও কতজন চেষ্টা করেছে কেউ সরাতে পারে নাই । এ সময় তিনি নিউজ করলে দেখে নেওয়ার ও তার ছবি ছাপলে মারধর করারও হুমকী ও দেন।
এ বিষয়ে খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস বলেন, তাদের কে মহাসড়কে পাশে বালি রাখার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে এবং নিষেধ করা হয়েছে। নিষেধ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
