বালু খেকো মহিদুলের বালু ঘাট দখল নিতে কৃষকদল-যুবদল নেতাদের বৈঠক - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

বালু খেকো মহিদুলের বালু ঘাট দখল নিতে কৃষকদল-যুবদল নেতাদের বৈঠক

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার বালু কুখ্যাত ‘বালু খেকো’ মহিদুল ইসলামের বালু ঘাটের দখল নিতে বৈঠক করেছেন স্থানীয় বিএনপি, কৃষকদল ও যুবদল নেতারা। ওই বৈঠকে দ্রুত বালু ঘাট সচল অর্থাৎ ঘাট থেকে বালু বিক্রি শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বৈঠকে উপস্থিত শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপকি আমিরুল ইসলাম। গত সপ্তাহের মঙ্গলবার মহিদুলের জুগিয়া বালু ঘাটে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলা ১৪৩১ সনের জন্য গড়াই নদী ড্রেজিং ও তীর সংরক্ষণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় জুগিয়া ও গোপিনাথপুর মৌজায় নদী তীরে স্তুপিকৃত বালু অপসরারণের কার্যাদেশ পায় কুষ্টিয়া পৌর কাউন্সিলর ও ১৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মহিদুল ইসলাম। তিনি কার্যাদেশে উল্লেখিত সব শর্ত ভেঙে দীর্ঘদিন ধরে ওই দুটি ঘাট থেকে বালু বিক্রি করে আসছিল। বালুবাহী অবৈধ ড্রাম ট্রাকের দাপটে একদিকে গোটা এলাকার জনজীবন চরম ভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে অন্যদিকে এলাকাবাসীর চলাচলের ৩টি সড়ক অধিক লোডেড বালুবাহী ড্রাম ট্রাকের দাপটে এখন সম্পূর্নরুপে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

সড়কটির অধিকাংশ স্থানে খানাখন্দে মৃত্যু ফাঁদে রূপ নিয়েছে। স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ সকল বয়সী নারী পুরুষ সকলের জন্যই সড়ক ৩টি ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে প্রভাবশালী বালুখোর চক্রের বেপরোয়া দাপটে। নারী ও শিশুসহ স্থানীয় বাসিন্দারা ধুলাবালির আস্তরনে নানা রোগে ভুগছে। যার আর্থিক ক্ষতির মানদন্ডে হিসেব করলে সরকার এখান থেকে যে টাকার রাজস্ব আয় করছে তার চেয়ে শতগুন বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকির উর্বরক্ষেত্র হয়েছে জনপদটি।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মহিদুল গা ঢাকা দিলে বালু বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। তবে গতকাল মঙ্গলবার জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম সুমন, জেলা যুবদলের সহ সমন্বয়ক জিল্লুর রহমান জনি, ১৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম (ড্রাইভার), ১৫ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি জান মহাম্মদ জানু, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা রাসেলসহ বেশ কয়েক জন ওই বালু ঘাটে গিয়ে বৈঠক করেন।

১৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম (ড্রাইভার) এ বৈঠকের কথা স্বীকার করে বলেন, তারা সবাই মিলে বালু ঘাট থেকে পুরনরায় বালু বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। খুব দ্রুত এ বালু বিক্রি শুরু হবে। অন্যের নামে বরাদ্দ হওয়া ঘাট থেকে কিভাবে বালু বিক্রি করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আমিরুল বলেন, সে ব্যবস্থা করে নেওয়া হবে।