বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: আগস্ট ১, ২০২৪

কুমারখালী প্রতিনিধি ॥ প্রায় এক মাস ধরে সকল প্রকার টিকা শূণ্য কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল। প্রতিদিনই টিকার জন্য হাসপাতালে এসে ফিরে যাচ্ছেন পশুসহ অনেক গ্রাহকরা। বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে তাদের গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। তারা দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি জানান।

হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, উপজেলায় দেশী মুরগীর সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ, সোনালী এক লাখ ৪৬ হাজার,  ব্রয়লার এক লাখ ৫৫ হাজার, লেয়ার ৪৫ হাজার, হাঁস ৯৩ হাজার, কোয়েল ৯ হাজার ৭০০, কবুতর রয়েছে ৭ হাজার ৬৮৫ টি। এছাড়াও গাভী রয়েছে ৬১ হাজার ৯১৪টি, ষাড় ৩২ হাজার ৪২৮টি, ছাগল ৭৫ হাজার ৩৭৭টি, মহিষ ৫৭৬টি, ভেড়া ২ হাজার ৫৮১টি, ঘোড়া ৬৭৫টি, শুকুর ২৫টি।

এদের জন্য প্রতিমাসে গড়ে ৪২ হাজার ডোজ তড়কা, বাদলা, গলাফুলা, ক্ষুরা, রাণীক্ষেত, ফাউল কলেরা, ডাকপ্লেগ, গামবোরা, এল এস ডিসহ ১৬ পদের টিকা ব্যবহৃত হয়। তবে গত ১ জুলাই থেকে হাসপাতালে কোনো প্রকার টিকাই নেই। গ্রাহকরা এসে ফিরে যাচ্ছেন।

অনেকেই কিনছেন বাইরে থেকে। গতকাল বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে ভেটেরিনারি হাসপাতালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দুইজন নারী দুইটি ছাগল নিয়ে বসে আছেন। তাদের ছাগল গুলো কুকুর কামড় দিয়েছে। এসময় উপজেলার সদকী ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মানিকের স্ত্রী মিতু খাতুন বলেন, ছাগলটিকে কুকুরে কামড় দিয়েছে। হাসপাতালে ভ্যাকসিন নেই। চিকিৎসক লিখে দিলে বাইরে থেকে কিনব। সেজন্য তারা বসে আছেন।

যদুবয়রা ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের আম্বিয়া খাতুন বলেন, আমার ছাগলটিকেও কুকুরে কামড় দিয়েছে। আমি গত মঙ্গলবার হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কিন্তু হাসপাতালে টিকা নাই বলে ফার্মেসি থেকে ৩০০ টাকায় কিনেছি। কলেজ শিক্ষক আরিফুজ্জামান বলেন, বাড়িতে ৭ টি গরুর একটি ছোট খামার আছে। গুরুর ক্ষুরা রোগ হয়েছে। হাসপাতালে ভ্যাকসিনের জন্য গিয়ে পাইনি। পরে বাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকার ভ্যাকসিন কিনেছি।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন জানান, প্রায় এক মাস ধরে হাসপাতালে কোনো ভ্যাকসিন নেই। প্রতিদিন অনেকেই এসে ফিরে যাচ্ছেন। তার ভাষ্য, চলমান পরিস্থিতির কারণে ভ্যাকসিন আসতে দেরি হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম জানান, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ চলছে। খুব দ্রুতই হাসপাতালে ভ্যাকসিন পৌছাবে।