রঞ্জুউর রহমান ॥ গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল দশটা জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মোছাঃ শারমিন আখতার এর সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসন এবং জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কুষ্টিয়া এর আয়োজনে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অবহিতকরণ ও বাস্তবায়ন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এবং উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,
জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর এর উপপরিচালক সুফি মোঃ রফিকুজ্জামান, জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল, কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কুষ্টিয়া এর সাধারন সম্পাদক নাফিজ আহমেদ খান টিটু এবং এর সদস্যবৃন্দ জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে উপস্থিত বক্তারা বলেন, যুগে যুগে দেশে মানুষের উপকারের জন্য আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের আইন জারি করা হচ্ছে।
এরই অনুবৃত্তিক্রমে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ২৬নং আইন) প্রবর্তিত হয়েছে। ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন হচ্ছে ক্রেতা সাধারণের অধিকার সংরক্ষণের জন্য আইন। ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন দেশের সকল মানুষ এবং অনাগত মানবশিশুকেও স্পর্শ করে। কেননা, একটি দেশের অনাগত বা মাতৃগর্ভ শিশুও একজন ভোক্তা হিসেবে সঠিক প্রয়োজনীয় দ্রব্য সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। ভোক্তা-অধিকার মানুষের মৌলিক মানবাধিকারের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অধিকার। ইউরোপ ও আমেরিকার উন্নত দেশগুলোতে অনেক আগে থেকেই ভোক্তা অধিকার আইন বাস্তবায়িত হয়েছে। জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মোছাঃ শারমিন আখতার বলেন,
বিক্রয়মূল ও ক্রয়মূল্যের মধ্যে পার্থক্য কত হবে এবং কত পারসেন্ট লাভ করতে হবে এ বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানে। এছাড়াও কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিদপ্তর ও বাজার মনিটরিং টিম বাজারের ক্রয় ও বিক্রয় মূল্য নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। তারপরও যখন আমাদের অভিযান পরিচালনা করা হয় তখন পরিস্থিতি একরকম থাকে এবং অভিযান শেষে বাজারের চিত্রটা ভিন্ন রকম হয়ে যায়। কারণ তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়।বর্তমানে ব্যবসায়ীরা আইন,মানবতা থেকে অনেক দূরে সরে গেছে।দিন শেষে আমরা সবাই ভোক্তা। তাই আমরা যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন ও আত্ম উপলব্ধের মাধ্যমে কাজ করতে পারি দিন শেষে আমরা সবাই উপকার ভোগী হতে পারব।
