ভেড়ামারায় বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় বন্ধু গ্রেপ্তার
ভেড়ামারায় বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় বন্ধু গ্রেপ্তার। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বন্ধুর সাথে দ্বন্দ্বের জেরে তুষার রহমান জীম (২৩) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সাকিবকে গ্রেপ্তার করেছে ভেড়ামারা থানা পুলিশ। বুধবার (১৪ জুন) ভেড়ামারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এঘটনায় নিহতের বাবা ফজলু মন্ডল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

ভেড়ামারায় বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় বন্ধু গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার সাকিব ভেড়ামারা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রফেসরপাড়ার মৃত সিরাজুল ইসলাম সিরু ড্রাইভারের ছেলে। সাকিব নিহত জীমের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। তারা একই এলাকার বাসিন্দা। একসাথে চলাফেরা করতেন জীম ও সাকিব।
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ জুন) সকালের দিকে ভেড়ামারা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রফেসরপাড়ায় গোলাম মোস্তফা রুবেলের ফাঁকা বাসার দ্বিতীয় তলায় সিঁড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তুষার মন্ডল জীম ভেড়ামারা উপজেলার ফজলু মন্ডলের ছেলে। তিনি ইলেকট্রনিকস মিস্ত্রীর সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, বন্ধুদের হাতে জীম খুন হয়েছে। মাদক সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জেরে জীমের বন্ধুরা নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আমরা মামলা করেছি। পুলিশ জীমের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সাকিবকে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা খুনিদের ফাঁসি চাই।
নিহতের পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জিমের বাড়িও প্রফেসরপাড়ায় এলাকায়। সে তার দাদার বাড়িতে বসবাস করতেন এবং ইলেকট্রনিকস মিস্ত্রির হেলপার হিসেবে কাজ করতেন। মাঝেমধ্যে দিনমজুর হিসেবেও কাজ করতেন। কয়েকবছর আগে জিমের বাবা এ এলাকা থেকে চলে যায় এবং একই উপজেলার ১২ মাইল এলাকায় বসবাস করে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে ভেড়ামারা উপজেলার শহরের প্রফেসরপাড়ায় ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা রুবেলের ফাঁকা বাসার দ্বিতীয় তলায় সিঁড়িতে তুষার রহমান জীমের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার বিকালের দিকে দাফন সম্পন্ন হয়।

এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, জীম নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহতের এক বন্ধু সাকিবকে গ্রেপ্তার করেছে ভেড়ামারা থানা পুলিশ। নিহতের জামা-কাপড় উদ্ধার করা হয়েছে। ১৬৪ করার জন্য আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তদন্তের স্বার্থে হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে এই মুহুর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
