কুমারখালীতে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানে কৃষকদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে 'বঙ্গবন্ধু ধান ১০০'
কুমারখালীতে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানে কৃষকদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু ধান ১০০’। বোরো ধান ২০২২ – ২৩ অর্থবছরে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে হেড টু হেড প্রদর্শনীর নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা কেন্দ্রের সহযোগীতায় শনিবার (২৯ এপ্রিল) সকালে উপজেলার নন্দনালপুর ইউনিয়নের সদরপুর গ্রামে এ শস্য কর্তনের আয়োজন করে সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি)।

কুমারখালীতে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানে কৃষকদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু ধান ১০০’
উচ্চ ফলনশীল জাতের শস্য কর্তনের সময় উপস্থিত ছিলেন এসডিসি’র জেলা মাঠ কর্মকর্তা দীবাকর মল্লিক, উপ – সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. সামিউল হক, কৃষকসহ প্রমূখ।
জানা যায়, অঞ্চল ভিত্তিক আধুনিক উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষে কৃষকদের জমি নির্বাচন ও আগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষে হেড টু হেড প্রদর্শনী প্লটের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি। আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা কেন্দ্রের সহযোগীতায় তারই অংশ হিসেবে সদরপুর গ্রামের মো. খাইরুল ইসলামের ৬৬ শতাংশ জমিতে বিনা ধান -২৫, ব্রি ধান -২৮, ৭৪, ৮৮, বাউ ধান -৩ ও বঙ্গবন্ধু ধান -১০০ সহ ছয়টি জাতের প্রদর্শনী চাষাবাদ করা হয়।
স্বল্পমেয়াদী উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান গুলো শনিবার সকালে কর্তন শেষে ব্রি ধান -২৮ হেক্টর প্রতি ৫ দশমিক ৬ টন, ব্রি ধান -২৮ হেক্টর প্রতি ৬ দশমিক ৩০ টন, ব্রি ধান -৭৪ হেক্টর প্রতি ৭ দশমিক শূণ্য শূণ্য টন, বঙ্গবন্ধু ধান -১০০ হেক্টর প্রতি ৭ দশমিক শূণ্য ৮ টন, বিনা ধান -২৫ হেক্টর প্রতি ৭ দশমিক ১২ টন ও বাউ ধান -৩ হেক্টর প্রতি ৭ দশমিক ৫১ টন উৎপাদন হয়।
আরো জানা যায়, হেক্টর প্রতি উৎপাদনে হয়েছে বাউ ধান -৩ প্রথম এবং বিনা ধান -২৫ দ্বিতীয় হলেও গাছ শক্ত, রোগবালাই ও চিটা কম হওয়ায় কৃষকদের নজর কেড়েছে বঙ্গবন্ধু ধান -১০০ জাতটি।
এবিষয়ে কৃষক খাইরুল ইসলাম বলেন, ছয়টি ধানের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ধান -১০০ জাতের ধানটিতে রোগবালাই ও চিটা কম হয়েছে। ধান পেকে গেলেও গাছ এখনো শক্ত ও সতেজ রয়েছে। সবমিলে তাঁর ও তাঁর এলাকার কৃষকদের এজাতটি নজর কেড়েছে।

এসডিসি’র জেলা মাঠ কর্মকর্তা দীবাকর মল্লিক বলেন, অঞ্চল ভিত্তিক আধুনিক উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষে কৃষকদের জমি নির্বাচন ও আগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষে হেড টু হেড প্রদর্শনী প্লট নিয়ে তাঁর সংস্থাটি ২০১৭ সাল থেকে কাজ করছে। সদরপুরে তিনি ৬ টি জাতের ধানের প্রদর্শনী দিয়েছিলেন। কর্তন শেষে বঙ্গবন্ধু ধান -১০০ জাতটিতে কৃষকরা আগ্রহ দেখিয়েছে। আগামীতে এঅঞ্চলের কৃষকরা বেশি ফলনের জন্য এজাতের চাষাবাদ করবেন বলে জানান তিনি।
