দৌলতপুরে মেয়ে দিয়ে ফিটিং পার্টির ৫ সদস্য আটক
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মেয়ে দিয়ে ফিটিং পার্টির তিন সদস্য কে আটক করেছে থানা পুলিশ। এলাকাবাসী বলেন দীর্ঘদিন যাবত রিফায়েতপুর ইউনিয়নের কাগহটি গ্রামের নওয়াব আলী বাড়িতে ফিটিং পার্টি আস্তানা গড়েছে।

দৌলতপুরে মেয়ে দিয়ে ফিটিং পার্টির ৫ সদস্য আটক
এই ফিটিং আস্তানাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বিশাল একচক্র। বছরের পর বছর এই চক্রটি বিভিন্ন সময় মানুষকে জিম্মি করে সর্বস্য লুটে নিয়েছে। এই পার্টির সদস্য বর্তমানে কুষ্টিয়া জেলা জুড়ে অবস্থান করছে। পুরুষ সদস্য ছাড়াও চক্রটিতে রয়েছে একাধিক সুন্দরী নারী সদস্য।
এই চক্রের সদস্যদের কাজ হলো প্রথমে টাকাওয়ালা ও সম্মানী ব্যক্তিদের ফোন নাম্বার ম্যানেজ করা। পরে চক্রের সুন্দরী নারী সদস্যদের লেলিয়ে দিয়ে কৌশলে প্রেম করিয়ে ডেকে আনেন কাগহাটির নওয়াবের বাড়িতে। বাড়িতে প্রবেশের পর পর চক্রের পুরুষ সদস্যরা কেউ সাংবাদিক কেউ পুলিশের বিভিন্ন শাখার লোক পরিচয় দিয়ে ব্লাকমেল করে। পরে তাতেও কাজ না হলে আগত ব্যক্তিকে নগ্ন করে চক্রের মহিলা সদস্যদের সাথে ছবি তুলে ভাইরাল করে দেয়ার ভয়-ভীতি দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নেওয়া হয়।
এলাকাবাসী আর বলেন গত ২৩ তারিখে এক ক্লিনিক মালিক কে একই কায়দা জিম্মি করে তার সর্বস্ব লুটে নেওয়ার পর দৌলতপুরের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নড়েচড়ে বসেছে। দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান এই চক্রের সদস্যদের আটক করতে শুরু করেছে।

দৌলতপুরে মেয়ে দিয়ে ফিটিং পার্টির ৫ সদস্য আটক
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী ক্লিনিক মালিক আশরাফুল ইসলাম এর অভিযোগের ভিত্তিতে এস আই সেলিম রেজা সঙ্গীয় অফিসার নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে ফিটিং পার্টির কৌশলে চোরাইকৃত মোটরসাইকেল সহ আল্লারদর্গা বাজার থেকে মিরপুর হলুদ বাড়িয়া গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন রাজিব ও নতুন আমদহ গ্রামের সফিকুলের ছেলে রনি কে আটক করা হয়েছে ২৪ তারিখ রাতে । সে সময় তাদের কাছে থেকে ৭ টি মোটরসাইকেল, টি ভি এস ফোর ভি, হোন্ডা এক্স বুলেট, হিরো হোন্ডা সিডি ডন, সুজোকি জিক্সার, হোন্ডা ড্রিম, টিভিএস স্ট্রাইকার, ডিসকভার ১২৫ সিসি জব্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানা ফিটিং চক্রের সদস্যদের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে এবং ২৫ তারিখ সকালে চক্রের প্রধান সাংবাদিক পরিচয় দানকারী তরিকুল ও মেহেদি কে আটক করা হয়েছে। ও ২৬ তারিখ সকালে বাড়ির মালিক নওয়াব আলীকে আটক করেছে পুলিশ । এবং চক্রের সকল সদস্যকে আটক করার জন্য থানা পুলিশ কাজ করছে।
