দৌলতপুর প্রতিনিধি \ ভারতের সীমান্তবর্তী বৃহৎ উপজেলা কুষ্টিয়ার দৌলতপুর। ১৪ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ উপজেলায় এখনো স্থাপন হয়নি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন। আছে উপজেলার মুল ভূখন্ড থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন ৪৭ কিলোমিটার সীমান্ত। ৪৬১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের সীমান্তবর্তী এই দৌলতপুর থানাকে উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয় ১৯৮৩ সালে। অত্যন্ত ঘনবসতী নিয়ে প্রায় ৮ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস এ উপজেলায়। উপজেলাটিতে আছে শিল্পনগরী। যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে কয়েক লক্ষ মানুষের। দেশ স্বাধীনের ৫৩ বছর পার হলেও আজও নির্মিত হয়নি ফায়ার সার্ভিস। এত বছরেও ফায়ার সার্ভিস নির্মিত না হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে উঠে এসেছে জায়গা জমি নির্ধারণ না হওয়া। অবশেষে জমির জটিলতারও অবসান ঘটে। গত ২০২২ সালে উপজেলার দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের চুয়ামোলিক পাড়া গ্রামের মৃত আবুল খায়ের সাদ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা বানু তার বসতবাড়ির ৮২ শতাংশ জায়গা ফায়ার সার্ভিসকে দান করেছেন। জমিদাতা এই নিঃসন্তান হাসিনা বানুর দাবি, তার মৃত্যুর আগেই যেন তার বসত ভিটাতে নির্মিত হয় ফায়ার সার্ভিস। হাসিনা বানুর পাশাপাশি ফায়ার স্টেশনটি বাস্তবায়নে জোর দাবি জানিয়েছেন উপজেলাটির বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। উপজেলাটিতে সাধারণ মানুষের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ মিল কারখানা গুলোতে মাঝে মধ্যেই ঘটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা। আর এসব অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সাধারণ মানুষসহ ব্যবসায়ীদের যান মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এসব অগ্নিকান্ড নিয়ন্ত্রণে পার্শ্ববর্তী ভেড়ামারা উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনা স্থলে আসতে আসতেই সব কিছু পুড়ে শেষ হয়ে যায়। এ ব্যাপারে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ওবায়দুলাহ জানান, ফায়ার সার্ভিস নির্মাণ করার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। যেকোনো সময় দৃশ্যমান হবে অবকাঠামো। কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর জানে আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, দৌলতপুর ফায়ার স্টেশনের জন্য অলরেডি জনবলও নিয়োগ দেওয়া আছে। বর্তমানে এটি সরকারের দুই নম্বার প্রকল্পে আছে, একনেকে পাস হলেই অবকাঠাম দৃশ্যমান হবে।
