প্রধান শিক্ষকসহ ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

প্রধান শিক্ষকসহ ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪

কুমারখালী প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার কুমারখালীর এম এন পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ মোহাম্মদ বাসার, সহকারী শিক্ষক দিলিপ কুমার ও তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ কর্তন, গাইড বাণিজ্য, ফরম পূরণ ও পুরাতন ভবন বিক্রির টাকা আত্মসাত, মার্কেট তৈরিতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, অতিরিক্ত বেতন নেওয়া, রাজনৈতিকভাবে বিদ্যালয় পরিচালনাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।

অনিয়মের প্রতিবাদে ও তাদের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে এবং বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এরপর দুপুরে তারা ইউএনওর কাছে লিখিত তিন দফা দাবি প্রেরণ করে। পরে ইউএনও তার নিজ কার্যালয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের নিয়ে এক জরুরি বৈঠক করেন। বৈঠকে অভিযোগের তদন্ত কমিটি গঠন করেন ইউএনও। তখন দাবি বাস্তবায়নে আশ্বস্ত হয়ে দুপুর ২ টা থেকে ফের ক্লাসে ফিরে যায় শিক্ষার্থীরা।

দুপুরে সরেজমিন বিদ্যালয় চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, ক্লাস বন্ধ করে কেউ মাঠে খেলা করছেন। কেউ তিন দফা দাবির পোষ্টার নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। আবার কেউ কেউ ইউএনওর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। এসময় দশম শ্রেণির আরাফাত, নমব শ্রেণির ফুয়াদ ও তাহমীদ মুবিন বলে, প্রধান শিক্ষক ফিরোজ মোহাম্মদ বাসার, সহকারী শিক্ষক দিলিপ কুমার ও তৌহিদুল ইসলাম যোগসাজশে বিদ্যালয়ের গাছ কেটেছে, গাইড বাণিজ্য, ফরম পূরণ ও পুরাতন ভবন বিক্রির টাকা আত্মসাত করেছে। মার্কেট তৈরিতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করেছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত বেতন নিচ্ছেন। রাজনৈতিকভাবে বিদ্যালয় পরিচালনার মাধ্যমে নানা অনিয়ম করে আসছে।

প্রতিবাদে তারা ক্লাস বর্জন করে ইউএনওর কাছে তিন দফা দাবি পেশ করেছে। শিক্ষার্থীদের সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ফিরোজ মোহাম্মদ বাসার। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও পৌররসভার মেয়র সামছুজ্জামান অরুন গাছ কেটে নিয়ে ৩০ টি চেয়ার দিয়েছেন। মার্কেটও মেয়র নির্মাণ করেছে। সেসময় তিনি প্রতিবাদ করলে, মেয়র তাকে নানাভাবে হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি সকল রাজনীতি ও রাজনৈতিক নেতাদের হাত থেকে বিদ্যালয়টিকে মুক্ত করতে চান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের লিখিত দাবির প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোনো অনিয়ম থাকলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।