বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণই নিরস্ত বাঙালির একমাত্র অস্ত্র ছিল : প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা পরিষদের মাঝে মুক্তিযুুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ “মুক্তির মন্ত্র’র শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। ৫ই আগস্ট বিকেলে মুক্তির মন্ত্র স্মৃতি স্তম্ভটি প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণই নিরস্ত বাঙালির একমাত্র অস্ত্র ছিল : প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী
উদ্বোধনের সাথে সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া সকল বীর সেনানিদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন- পাকিস্তান যখন প্রথম পার্লামেন্ট গঠন করে তখন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বলেছিলেন বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করতে হবে, পাকিস্তানকে ইগনোর করো, পরবর্তীতে ভাষার জন্য ১৯৫২ সালে আমাদের ছাত্র জনতা রক্ত দেন, এই যে আমাদের মনের মধ্যে একটা জাতিগত চেতনা। পরবর্তীতে ১৯৭০ সালে নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। তখন তারা মেনে না নিয়ে নানান ষড়যন্ত্র করে এবং ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে সারা বাংলার ছাত্র যুবক জনতার উপর পাক হানাদার বাহিনী নির্মমভাবে আক্রমণ করে পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং দীর্ঘ নয় মাস পাক হানাদারদের সাথে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরে ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে ও ২ লক্ষ মা-বোনদের সম্ভ্রমহানির পর আমরা বিজয় অর্জন করেছি।
এসময় তিনি আরো বলেন আপনারা জানেন বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ কত উন্নত। ১৯৭১ সালের আগে এবং পরে এখানকার অবস্থার কথা ভাবুন কিন্তু আমরা সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের আত্মত্যাগ স্বীকারকারীদের কথা মনে রাখি না। মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করতে হবে।” মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই আজকের মুক্তির মন্ত্র স্মৃতিসৌধ স্থাপন করা হয়েছে। ভাষা আন্দোলন স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্মিলিত “মুক্তির মন্ত্র” স্মৃতিসৌধটি বাঙালি জাতির ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি ও বাঙালিয়ানার এক প্রতিচ্ছবি। মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণই নিরস্ত বাঙালির একমাত্র অস্ত্র ছিল। মুক্তিযোদ্ধার এ সকল স্মৃতিচিহ্ন স্মরণে আজকের ‘মুক্তির মন্ত্র’ স্মৃতি স্তম্ভটি উদ্বোধন করলাম।”

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ এহেতেশাম রেজার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান, সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আলী হায়দার, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এ এইচ এম আবদুর রকিব। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট লেখক কলামিস্ট সাহিত্যিক দৈনিক কুষ্টিয়া পত্রিকার সম্পাদক ও ইসলামিক ইউনিভার্সিটি জনসংযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডঃ আমানুর আমান।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফজলুল হক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিপন বিশ্বাসসহ খোকসার সকল মুক্তিযোদ্ধা সহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকবৃন্দ।
