পাচারের টাকা ফেরাতে কয়েকটি দেশের সঙ্গে কাজ চলছে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

পাচারের টাকা ফেরাতে কয়েকটি দেশের সঙ্গে কাজ চলছে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: মার্চ ১০, ২০২৪

পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। তিনি বলেছেন, টাকা পাচারের বিষয়টা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফিন্যান্স ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) প্রায়ই আলোচনা করে। গতকাল শনিবার (৯ মার্চ) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।  ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, ‘যেখানে টাকাগুলো রয়েছে, যেখানে পাচারকৃত টাকাগুলো থাকে, দুই দেশের মধ্যে আইনগত চুক্তি হওয়ার পরেই কিন্তু পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এ কাজগুলো চলমান আছে। বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক হচ্ছে।’  আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘হুন্ডির বিরুদ্ধে সরকার সজাগ রয়েছে। হুন্ডির বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারেন সাংবাদিকেরা। তাঁদের লেখার মাধ্যমে হুন্ডিকে নিরুৎসাহিত করার বিষয়ে জনমত তৈরি করতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘ডলার সংকট কাটাতে এবং বৈদেশিক মুদ্রার বিনিয়োগ ও সঞ্চয়কে আইনি কাঠামোতে আনার জন্য বর্তমান সংসদের শেষ অধিবেশনে অফশোর ব্যাংকিং আইন পাস করা হয়েছে। এটা কিন্তু বিভিন্ন ব্যাংকে আগে থেকেই ছিল। নতুন আইনে শুধু কোম্পানি না, ব্যক্তিও অফশোর ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট করতে পারবেন। শুধু কারেন্ট অ্যাকাউন্ট না, ডিপোজিট অ্যাকাউন্টও করতে পারবেন। বৈদেশিক মুদ্রায় ডিপোজিট করতে পারবেন।’ ডিপোজিটের বিপরীতে আকর্ষণীয় সুদ দেওয়া হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী, ‘ডলারের ডিপোজিটে কিংবা বৈদেশিক মুদ্রার ডিপোজিটে আকর্ষণীয় সুদ দেওয়ার জন্যই কিন্তু আইনটা পাস করা হয়েছে। প্রবাসী ভাই-বোনেরা যাঁরা বিভিন্ন দেশে কাজ করেন, বিদেশে কিন্তু ডিপোজিটের সুদ খুব কম, এখানে ডিপোজিটের ব্যবস্থা আছে। এখানে আকর্ষণীয় সুদ দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে, এটাই একধরনের প্রণোদনা। এটা কিন্তু খুব বড় একটা আইনগত পদক্ষেপ।’  প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কর দেওয়ার বিষয়ে আপনারা একটু ক্যাম্পেইন করবেন। এবার রিটার্ন জমা দিয়েছে ৩৩ লাখের বেশি। যাদের করযোগ্য আয় আছে, প্রত্যেকে যাতে কর দেন, আপনারা সকলকে সচেতন করবেন। কর দেওয়া মানে দেশের অগ্রগতিতে অংশ নেওয়া। সর্বজনীন পেনশন স্কিমটা খুব চমৎকার, এটার জন্যও একটু লিখুন। এর আগে, শুভেচ্ছা বক্তব্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিক আয়শা খান বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির যে অবস্থা এখন চলছে, সেখানে অবশ্যই চ্যালেঞ্জ আছে। দেশের অভ্যন্তর থেকে এবং আন্তর্জাতিকভাবে অনেক চ্যালেঞ্জ এসেছে। সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই কিন্তু শেখ হাসিনা দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম এবং দক্ষিণের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ছিলেন।