ভেড়ামারায় পদ্মা নদীর ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় বাহিরচর ইউনিয়নে ১২ মাইল টিকিপাড়া ও মুন্সিপাড়া এলাকায় পদ্মা নদীর পানির বৃদ্ধির কারণে ব্যাপক ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ১২ মাইল টিকিপাড়া, মুন্সিপাড়া এলাকার প্রায় ৪ হাজার পরিবারের চোখের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। কখন যেন বাড়ি-ঘর পদ্মা নদীগর্ভে চলে যায়। জিও ব্যাগ রাবার ব্যাগ ফেলেও কোন লাভ হচ্ছে না।

ভেড়ামারায় পদ্মা নদীর ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ
মঙ্গলবার দুপুর তিনটার সময় পদ্মা নদীর ভাঙ্গন দেখতে এলাকা পরিদর্শন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী (ফরিদপুর) শাজাহান সিরাজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান মিঠু, ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আকাশ কুমার কুন্ডু, কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল হালিম, কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুর রহমান, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সাব ডিভিশন ইমরান সর্দার, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহানুর রহমান সোহাগ, বাহিরচর ইউনিয়ন জাসদের সাধারণ সম্পাদক আবু হোসেন আবু, চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য কারিবুল ইসলাম রনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী শাহাজান সিরাজ সাংবাদিকদের জানান- ইতিমধ্যে জরুরী ভিত্তিতে ২৪ হাজার জিও ব্যাগ ও ২৮৮টি রাবার ব্যাগ ফেলানোর অনুমোদন হয়েছে। এবং এর কাজ চলমান রয়েছে।
টিকিপাড়া এলাকার পক্ষ থেকে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহানুর রহমান সোহাগ বলেন, আজ ১৫-২০ দিন হল পদ্মা নদীতে পানির বৃদ্ধির ফলে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এই ভাঙ্গনকে রোধ না করতে পারলে আমাদের বাড়িঘর কোন কিছুই থাকবে না। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছি। আমরা আমাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে রাতে ঘরে ঘুম আসতে পারছিনা, কখন যেন আমার ঘরটি পদ্মা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়।
![]()
