দৌলতপুরে পদ্মার চরাঞ্চলের ত্রাস উজ্জল সরদারের কাছে জিম্মি সাধারণ মানুষ - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

দৌলতপুরে পদ্মার চরাঞ্চলের ত্রাস উজ্জল সরদারের কাছে জিম্মি সাধারণ মানুষ

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: জুন ১৬, ২০২৩
দৌলতপুরে পদ্মার চরাঞ্চলের ত্রাস উজ্জল সরদারের কাছে জিম্মি সাধারণ মানুষ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরাঞ্চলের ত্রাস উজ্জল সরদারের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। উজ্জল সরদারের নেতৃত্বে তার ক্যাডাররা বুধবার বিকেলে দু’জন নিরীহ গ্রামবাসীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে।

দৌলতপুরে পদ্মার চরাঞ্চলের ত্রাস উজ্জল সরদারের কাছে জিম্মি সাধারণ মানুষ

দৌলতপুরে পদ্মার চরাঞ্চলের ত্রাস উজ্জল সরদারের কাছে জিম্মি সাধারণ মানুষ

দৌলতপুরে পদ্মার চরাঞ্চলের ত্রাস উজ্জল সরদারের কাছে জিম্মি সাধারণ মানুষ

স্থানীয় সাংসদের সাথে গভীর সখ্যতা গড়ে তুলে এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে এক সময়ের বিএনপি ক্যাডার ও বাহিনী প্রধান লালচাদের সামরিক শাখার সেকেন্ড ইন কমান্ড উজ্জল সরদার।

সরোজমিনে এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, দৌলতপুর উপজেলার পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষা মরিচা ইউনিয়ন। বুধবার বিকেলে ওই ইউনিয়নের শান্ত গ্রাম হাটখোলাপাড়ায় উজ্জল সরদারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন শরিফুল ওরফে ভ্যালস মালিথা ও বজলু মালিথা নামে দুই নিরীহ কৃষক। এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবারের অভিযোগ তুচ্ছ ঘটনাকে পুঁজি করে উজ্জল সরদারের নেতৃত্বে তার ক্যাডাররা এ হামলা চালায়।

google news

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

এলাকাবাসীর অভিযোগ উজ্জল সরদার বিগত বিএনপি সরকারের সময় ওই দলের একজন চিহ্নিত ক্যাডার ও স্থানীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠি লালচাঁদ বাহিনীর সামরিক শাখার সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন। বিএনপি সরকার পরিবর্তন হলে তিনি দেশের বাইরে চলে যান। বছর পাঁচেক আগে এলাকায় ফিরে কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য সরওয়ার জাহান বাদশার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। এরই সুবাদে উজ্জল সরদার এলাকার বালুঘাট, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নেন। পাশাপাশি তিনি এলাকায় নতুন করে সন্ত্রাসী বাহিনীও গড়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছেন বলে ভীতসন্ত্রস্থ এলাকাবাসী গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন।

তবে এলাকার শান্তি বজায় রাখার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুর রহমান। জোড়া খুনের ঘটনার পর থেকে উজ্জল সরদার পলাতক রয়েছেন। তবে উজ্জল সরদারের স্ত্রী মাসেদা খাতুনের দাবি ঘটনার সাথে উজ্জল জড়িত না এবং ঘটনার সময় সে ছিলও না।

এদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য সরওয়ার জাহান বাদশার দাবি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নির্বাচন সামনে রেখে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এছাড়া উজ্জল সরদার জোড়া খুনের সঙ্গে জড়িত না বলেও দাবি করেন তিনি।

এলাকার শান্তি ফিরাতে উজ্জল সরদারকে দ্রুত গ্রেফতার ও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সোচ্চার হয়ে উঠেছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেলে গরুতে জমির পাটক্ষেত খাওয়া নিয়ে স্থানীয় এমপি’র ক্যাডার লালচাঁদ বাহিনীর সেকেন্ডে ইন কমান্ড উজ্জল সর্দার ও বজলু মালিথার মধ্যে গরুতে পাটক্ষেত খাওয়াকে কেন্দ্র করে বাক বিতন্ডা হয়। এরই জের ধরে বুধবার বিকেল ৫টার দিকে মরিচা ইউনিয়নের হাটখোলাপাড়া জামে মসজিদের সামনে দু’পক্ষের মধ্যে আবারও বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে উজ্জল সর্দারের নেতৃত্বে ২০-২৫জন আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বজলু মালিথা পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা করে। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে গুলিবর্ষণ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে একে অপরকে আঘাতের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বজলু মালিথা গ্রুপের বজলু মালিথা ও শরিফুল মালিথা ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়। তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আরও পড়ুন: