গুচ্ছ বাতিল করে নিজস্ব পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তি চায় ইবি শিক্ষক সমিতি
গুচ্ছভুক্ত বিশ্বিবদ্যালয় ভর্তি পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ না করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতি। রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৪টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

গুচ্ছ বাতিল করে নিজস্ব পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তি চায় ইবি শিক্ষক সমিতি
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়’ এর আছে সমৃদ্ধি ও ঐতিহ্য ও স্বকীয়তা। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এখানকার স্নাতক শ্রেনীর ভর্তি প্রক্রিয়া প্রশ্নাতীত। সমন্বিত (গুচ্ছ) ভর্তি প্রক্রিয়া অধিকতর সহজ ও নির্বিঘ্ন হবে সারাদেশের কয়েক লক্ষ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রত্যাশায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।
পরবর্তীতে দেখা যায়, সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়ায় সমন্বয়হীনতা, দীর্ঘসূত্রিতা শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়াকে আরো জটিল করে তুলেছে। এর ফলে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতার বিষয়ে জনমতে একটা নেতিবাচক ধারনা তৈরি হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার কারণে শিক্ষার্থী ও অবিভাবকরা বিভিন্নভাবে হয়রানির স্বীকার হচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সিন্ধান্ত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ না করার বিষয়টি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।

এছাড়াও সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এর আগে, বেলা ১১ টায় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় তারা এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এসময় সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ-আল-মাসুদ, সদস্য অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন, অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ, ড. সাজ্জাদ হোসেন, এম. এম. নাসিমুজ্জামান, সাজ্জাদুর রহমান টিটু, ফিরোজ আল মামুন ও শহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
