কুষ্টিয়ায় তৈরি হচ্ছে নামিদামি ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলের নকল পার্টস
কুষ্টিয়া শহরের নিকটবর্তী হরিপুর ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের বোয়ালদাহ এলাকায় বাচ্চু নামের এক ব্যক্তি তৈরি করছেন নামিদামি ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলের পার্টস। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আবাসিক এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে কারখানা বানিয়ে বাচ্চু এসব নকল পার্টস তৈরি করে চলেছেন।

কুষ্টিয়ায় তৈরি হচ্ছে নামিদামি ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলের নকল পার্টস
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বোয়ালদাহ মোড় থেকে কয়েকশ গজ দূরে ক্যানেলের গা ঘেঁষে টিনসেড একটি বাড়িতে গড়ে উঠেছে নকল পার্টস তৈরির কারখানা। আশপাশ দেখে বোঝার উপায় নেই এটি একটি নকল পার্টস তৈরির কারখানা। সেখানে নেই কোন সাইনবোর্ড। বাড়ির মুল দরজা বন্ধ করে ভেতরে তৈরি করা হচ্ছে এসব নকল পার্টস। কারখানাটিতে হোন্ডা, বাজাজ, ইয়ামাহা, হিরো, টিভিএস সহ বেশ কয়েকটি নামিদামি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেলের মোটরসাইকেলের নকল পার্টস বানানো চলছে।

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন
নকল এই পার্টস তৈরির কারখানার রুম ও বারান্দায় বসানো রয়েছে হিটার মেশিন, লেদ মেশিন, ডিল মেশিন, কাটিং মেশিন সহ ছোট বড় ৬টি মেশিন। এই মেশিনগুলো দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলের হ্যান্ড রিং রাবার, চেইন কাভারের রাবার, ড্রাম রাবার, ব্রেক রাবার, কেবল রিং রাবার, সাইডলাইট রাবার, প্লাগ রাবার, পাদানী রাবার, বেরেক প্যাডেলের রাবার সহ নানান ধরনের রাবার। আর এই রাবারগুলো পলিথিনের ছোট মোটা প্যাকেটে ভরে হোন্ডা জেনুইন, ইয়ামাহা জেনুইন, বাজাজ জেনুইন এরকম বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল কোম্পানির নাম ব্যবহার করে কাগজের নেম প্লেট দিয়ে বাজারজাত করা হচ্ছে।

কুষ্টিয়ায় তৈরি হচ্ছে নামিদামি ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলের নকল পার্টস
ঐ কাগজের নেম প্লেটের নিচের দিকে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম বিইউএফ লেখা থাকলেও ক্যাশ মেমোতে লেখা রয়েছে মেসার্স ফিহা অটোজ। সেখানে আরো লেখা রয়েছে “এখানে সকল প্রকার মটর সাইকেলের পার্টস পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করা হয়”। এভাবে নকল পন্য তৈরি করে মিথ্যা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কুষ্টিয়া সহ আশপাশের জেলাগুলোতে বিক্রয় করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন এই বাচ্চু।
তাছাড়া এই কারখানা তৈরিতে মানা হয়নি সরকারি কোন আইন। ফায়ার লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স, ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের লাইসেন্স কোনটিই না নিয়ে শিশু শ্রমিকদের দিয়ে অবাধে নকল পণ্য তৈরি করে যাচ্ছেন বাচ্চু। সেই সাথে আবাসিক এলাকায় রাবার জাতীয় পণ্য তৈরির কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়া সহ নানা ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসীরা।
