স্বামী শ্বাশুড়ী ও ননদের বিরুদ্ধে থানায় যৌতুক ও নির্যাতনের অভিযোগ
শনিবার ৮ ই এপ্রিল কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় স্বামী শ্বাশুড়ী ও ননদের বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী এক গৃহবধূ ।

স্বামী শ্বাশুড়ী ও ননদের বিরুদ্ধে থানায় যৌতুক ও নির্যাতনের অভিযোগ
ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আঠারো মাস আগে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানাধীন ঝাউদিয়া আলতাফ মোড় কারীগর পাড়ার ঈসাহক শেখে’র পুত্র ঈসমাইল শেখ (২৩) এর সাথে বিবাহ হয় ভুক্তভোগী ঐ গৃহবধূর ।
বিয়ের পর থেকে শ্বাশুড়ী সুন্দরী খাতুন (৫০) ও ননদ তাসলি খাতুন (৩৬) ভুক্তভোগী গৃহবধূকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছে। এছাড়াও স্বামী ঈসমাইল শেখ তাকে প্রায় মারধর করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন ঐ গৃহবধূ ।
ভুক্তভোগী ঐ গৃহবধূ অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, স্বামী ঈসমাইল শেখ প্রায়ই তাকে কারনে অকারনে মারধর করে এবং বলে বাবার বাড়ী থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতো । টাকা এনে না দিলে বাড়ী থেকে বের করে দেওয়াও হুমকি দিতো এবং টাকা না এনে দিলে অকথ্য ভাষায় গালাগালিজ করতো । মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে অভিযোগকারী ঐ গৃহবধূর বাবা ০৩ (তিন) মাস পূর্বে একটি এ্যাপাসি আর টি আর মোটর সাইকেল দেন যাহার মূল্য ১,২০,০০০/= (এক লক্ষ বিশ হাজার) টাকা। এরপর কিছুদিন ঈসমাইল শেখ অভিযোগকারী গৃহবধূর সাথে ভালো আচারন করলেও পরবর্তিতে সে আবার পূর্বের মত আচারন করতে থাকে বলে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন।
নিয়মিত নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় গত ৭ই এপ্রিল স্বামী ঈসমাইল শেখ এর নির্দেশে শ্বশুড় ঈসাহক শেখ, শ্বাশুড়ী সুন্দরী খাতুন ও ননদ তাসলি খাতুন অকথ্য ভাষায় গৃহবধূকে গালিগালাজ করে বাড়ী থেকে বের হয়ে যেতে বলে এবং গৃহবধূ তাদের আচরণ সহ্য করতে না পেরে গত ৭ই এপ্রিল সকাল ১০:০০ টার সময় তার মায়ে কাছে মোবাইল ফোনে ঘটনাটি বলে ।

খবর পাওয়ার পর গৃহবধূর মা ও বাব তাৎক্ষনিক গৃহবধূর স্বামীর বাড়ীতে আসে এবং সেই সময় গৃহবধূর শ্বশুর ঈসাহক শেখ, শ্বাশুড়ী সুন্দরী খাতুন ও ননদ তাসলি তাদের অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে এবং গৃহবধূকে তার মা ও বাবার সামনে মারধর করে ।
এরপর গৃহবধূর মা ও বাবা মারধরের কারন জানতে চাইলে তারা ভুক্তভোগী ঐ গৃহবধূর মা ও বাবা কে এলোপাতাড়ি মারধর করে নিলাফোলা জখম করে এবং যৌতুক না দিতে পারে মেয়েকে নিয়ে চলে যেতে বলে। সার্বিক পরিস্থিতি দেখে গৃহবধূর মা বাবা গৃহবধূকে নিয়ে তাদের বাড়ীতে চলে আসে।
ভূক্তভোগী ঐ গৃহবধুর মা জানান, আমার মেয়ের সাথে বিয়ে হাওয়ার পরে ঈসমাইল আরেকটা মেয়ের সাথে সম্পর্কে জড়াই ছিলো । বিয়ের পর থেকেই মেয়েকে নানা ভাবে মানুষিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো । বিভিন্ন সময় নানা অযুহাতে আমাদের কাছ থেকে মোটর সাইকেল ও আসবাবপত্র সহ যৌতুক নিয়েছে । যৌতুক না দিলে মেয়ের নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যেতো । মেয়ের শান্তির কথা চিন্তা করে আমরা সব সহ্য করেছি । এখন আমরা বিচার চাই ।
ইবি থানার অফিসার ইনচার্জ আননুর যায়েদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা এই বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি । তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
